প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা প্রত্যেক ধর্মের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আর সেই সমান অধিকার নিয়েই আপনারা থাকবেন, জাতির পিতার এটাই স্বপ্ন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গণভবনে খোলা মাঠে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ তার নিজের সন্তানের জন্য সম্পদ দিয়ে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সেখানেও আমরা সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব এলে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা কল্যাণ তহবিল থেকে টাকা দিই। এবারও আমরা টাকা দিয়েছি। কিন্তু সেটা কোনো সংগঠনের জন্য নয়। চার্চের মাধ্যমে সেই টাকা বিতরণ হয়। সবাই যেন অন্তত একটু মিষ্টি মুখ করতে পারে।
আমরা ২০১২ সালে ট্রাস্ট ফর্ম করে দিয়েছি। আমরা অনুরোধ করব, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই তো অর্থশালী-সম্পদশালী আছেন, আপনারা কিন্তু অনুদান দিতে পারেন। প্রত্যেকটা ধর্মের জন্যই আমরা এটা করে দিয়েছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের করে দিয়েছি। ২০০১ সালের পর বিভিন্ন জায়গায় অনেক হামলা হয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার ওপর জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছিল। যেখানে যেখানে চার্চ ধ্বংস করা হয়েছে সেখানে যথাযথ মেরামতের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি— বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের তো সৌভাগ্য বাংলাদেশ কার্ডিনাল পেয়েছে। সেই জন্য আমি গর্ববোধ করি। এ জন্য পোপকেও আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা পোপের জন্য কনটেস্ট করতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে। আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সিদ্ধান্ত নেয়। আপনারা গণভবনে এসেছেন, গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (সিএসবি) সভাপতি নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার। তারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, অ্যাসোসিয়শনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, সংসদ সদস্য গ্রোরিয়া ঝর্ণা সরকার, চার্চ অব বাংলাদেশের মডারেটর বিশপ সুনীল মানকিন, ন্যাশনাল খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের ফেলোশিপের সভাপতি বিশপ ড. এলবার্ট পি মৃধা, উপাধক্ষ্য রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান লীগের সাধারণ সম্পাদক ড্যানিয়েল নির্মল ডি কস্টা, সিএসবি’র যুগ্ম আহ্বায়ক গ্যাব্রিয়েল রোজারিও।
পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন বিশপ সুনীল মানকিন। প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন রেভা. মার্থা দাস, হেমন্ত আই কোড়াইয়া, মিলন আই গমেজ, রবার্ট ফলিয়া।