আলোকিত ডেস্ক: বৃষ্টি কমলেও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সাতকানিয়ার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন এখনও জলমগ্ন। চরতী, আমিলাইষ, নলুয়া, পশ্চিম ঢেমশা, ঢেমশা, কেওচিয়া, ছদাহা, বাজালিয়া, পুরানগড়, ধর্মপুর, কালিয়াইশ ও সাতকানিয়া পৌরসভার প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানিতে  তলিয়ে গেছে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা।

রাউজানে বন্যা

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, বানভাসি মানুষের জন্য সরকারি তরফে মোট ৬৫ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক তারেক সিদ্দিকী জানান, রোববার (১৪ জুলাই) বিকাল তিনটা পর্যন্ত সাঙ্গু নদীর পানি বান্দরবান পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার এবং দোহাজারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মাতামুহুরী, হালদাসহ সবকটি নদীর পানিও বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

সাতকানিয়ায় বন্যা

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ১৪ উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ এবং এক হাজারের কিছু বেশি বাড়ি-ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব উপজেলায় প্রাথমিকভাবে বরাদ্দকৃত নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ১৬৬ টন চাল বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি পরিদর্শনে তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে বন্যাদুর্গত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের জরুরি ওষুধ ও নিরাপদ পানিসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির পাশাপাশি পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অতিদুর্গত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা ও ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সুত্র:বাংলানিউজ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here