ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে তার বার্ষিক বড়দিনের বার্তায় বলেছেন, বিশ্ব শান্তির আকালে ভুগছে। ইউক্রেনে কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ‘খাবারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের’ নিন্দাও জানিয়েছেন পোপ। খবর বিডিনিউজের।
ইউক্রেন থেকে বিশ্বে প্রায় ৩০ শতাংশ গম রপ্তানি হয়। দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর গমের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। পোপ হওয়ার পর থেকে ১০তম বড়দিনে ফ্রান্সিস এই ভাষণ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তার ১০ মিনিটের এই ভাষণের বড় অংশ জুড়েই ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল এবং এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যান্য মঞ্চেও শান্তির বড়ই আকাল চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পোপ মধ্যপ্রাচ্য, মিয়ানমার, হাইতি ও আফ্রিকার শাহেল অঞ্চলের মানবিক সংকট এবং সংঘাত নিয়ে কথা বলেন। বিক্ষোভ জর্জরিত ইরানে সম্প্রীতির জন্য প্রার্থনাও করেন তিনি।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে বাসিলিকার বারান্দা থেকে দেওয়া ভাষণে পোপ যুদ্ধে মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। দৈনিক বিপুল পরিমাণ খাবার নষ্ট হওয়া এবং সম্পদ অস্ত্রের পেছনে ব্যয় করার মধ্যে বিশ্বে যারা ক্ষুধার্ত তাদের কথা ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পোপ বলেন, যুদ্ধ এই পরিস্থিতিকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে। গোটা বিশ্বের মানুষকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলছে। বিশেষ করে আফগানিস্তান এবং হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলোতে। আমরা জানি যে প্রতিটা যুদ্ধই ক্ষুধার কারণ হয়। যুদ্ধের মধ্যে এমনিতেই দুর্ভোগে থাকা মানুষের জন্য খাবার সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে খাদ্যকে অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগানো হয়। রাজনৈতিক দায়–দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের খাবারকে একান্তভাবে শান্তির হাতিয়ার করে তোলার পথে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন পোপ ফ্রান্সিস।