প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে জাতি হিসেবে বাঙালি আত্মপরিচয় পেত না। তারই নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা বন্দিদশায় ছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাই। ওই সময় মানুষের মুখে হাসি দেখি। যারা যুদ্ধে সব হারিয়েছিলেন তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন প্রিয় নেতাকে পেয়ে।’
‘বাংলার দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি জীবনটা কারাগারে কাটিয়েছেন। এদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা পায় এটিই ছিল তার স্বপ্ন। পাকিস্তানের মিলানওয়ালি জেলখানায় তাকে আটকে রাখা হয়। সেই জেলখানায় গরমের সময় প্রচণ্ড গরম, শীতের সময় প্রচণ্ড শীত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দীর্ঘ ৯ মাস তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন’ বলেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেন, “যখনই কোর্টে নিয়ে যাওয়া হতো তিনি জয়বাংলা স্লোগান দিতেন। বাংলাদেশের জনগণ ‘জয়বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলার জনগণের প্রতি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা শুরু করলাম।’
‘আজকে যে আয়োজন হয়েছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রেপ্লিকায় সেই দিনটি স্মরণ করা হলো। এই কাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফেরেন আমরা আসতে পারিনি। আমার মা একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন। তিনি সারাক্ষণ সেই ধারাভাষ্য শুনেছিলেন। আমরা মায়ের পাশে বসে সেই রেডিও শুনেছিলাম।’