সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ী এবং লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে সারাদেশে থাকা লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ী ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে হবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে হবে।
আদালতের তলবে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানী হাজির হওয়ার পর সোমবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। বিআরটিএ এর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি ইংরেজি দৈনিক। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে ফিটনেস বিহীন গাড়ী, রেজিস্ট্রেশন বিহীন গাড়ী ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধান সমূহ সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিনের ডিসি এবং বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীক এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিন বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদেশ অনুযায়ী সোমবার বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে একটি ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে বিআরটিএ এর পরিচালকও হাজির হন।
আদালতে বিআরটিএ’র আইনজীবী জানান, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ এবং ঢাকা শহরে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০৮টি। তবে বিআরটিএ এর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ীর সংখ্যা জানার সুযোগ নেই। এটি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি বলতে পারবে।