বিভাগের সম্পাদক :
পড়া শোনার চেয়েও বেশি সময় ব্যয় করছেন ফেসবুকে যার কারণে লেখা-পড়া নষ্ঠ হতে চলছে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাতে। তার পাশাপাশি মেধা শূন্য হতে বসেছে শিক্ষার্থীরা! শিক্ষার্থীরা হাতের নাগালে দ্রুত সময়ে মোবাইল ফোন পাওয়ার ফলে ফেসবুক নেশায় পড়ে যাচ্ছে। পড়ালেখার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছে তারা ফেসবুকে। ফেসবুক যেন এক নতুন নেশার পড়ার টেবিল। এই ফেসবুক পড়ার টেবিলে শেখার চেয়েও অপব্যবহার বাড়ছে। দুরান্ত গতিবেগে! তবে অভিভাবকের উদাসীনতার কারনেই এমনটা ঘটছে।

ছেলে-মেয়েদের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে তার সন্তানকেই তিনি ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।মোবাইল ফোনে ফেসুবক ব্যবহারের কারনে দিন দিন পড়ালেখার পরিবেশ থেকে হারিযে যাচ্ছে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। যে সময় পড়ার টেবিলে বই নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা সেই সময়ে শিক্ষার্থী ব্যস্ত ফেসবুক নিয়ে। অভিভাবকরাও এদিকে সুনজর না দেওয়ার কারনে রীতিমতই পড়ালেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ছাত্রছাত্রীরা।
বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা রাতে ও দিনে অবসর সময়টুকুও যেন ব্যস্ততায় ভরে তুলছে ফেসুবকে। নানা ধরনের বন্ধুতত্ব গড়ে তুলছে ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে। তবে সব জেনেও অভিভাবক যেন কিছুই জানে বলে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
ছেলে-মেয়েদের বাবা, ভাই, মামা, খালা প্রবাসী হওয়ার ফলে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের হাতে নতুন স্মার্ঁ ফোন তুলে দিচ্ছে গেমস খেলার বা গান শোনার কথা বলে। তবে সুযোগ বুঝে শান্তসৃষ্ট বাবার ছেলে মেয়ে ফেসুবক এ্যাকাউন্ট খোলে শুরু করছে ফেসবুক ফাঁদর নেশার অন্যতম জগত। তরুণ তরুণীদের এরপর শুরু হয় নতুন এক যুগে বিচরণ। আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করে ‘ফেসবুক’ জিনিসটা কি? ধীরে ধীরে এর প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখা দেয় তাদের নতুন এই জগতে।
একটা সময় ইচ্ছে করলেও ফেসবুক ছাড়া একটা মুহুর্ত কাটানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। পড়ার টেবিলে বসেই চলে চুপি চুপি নতুন জগতের নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে আড্ডা। তবে তার অভিভাবক মনে করছে তার ছেলে মেয়ে ব্যস্ত রয়েছে পড়ার টেবিলে পড়া নিয়ে। অভিভাবকের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে তার নতুন জগতের বিশ্বলেষণ। মানে পড়ার ছেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছেন তারা ফেইসবুকে মধ্যে।
বর্তমান দেশের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা থেকে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তা কিছুই যেন বুঝছেনা নিজের পরিবার পরিজন। এভাবেই ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করে পড়ালেখা থেকে একে বারে নিচে নেমে পড়ছে। প্রবাসীদের ঘরের সহজসরল মাকে তালবাহানা করে বিভিন্ন ধরনের কথা বুঝিয়ে নতুন নতুন স্মার্ঁফোন কিনছে যুবসমাজ।
এভাবেই ইন্টানেন্ট, ফেসবুক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হারিয়ে যাচ্ছে বাস্তব জগৎ থেকে। আধুনিকতার এ যুগে যার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট নেই তাকে প্রাচীন মানুষ বলেই গণ্য করা হচ্ছে।
শুধু কি তাই? পড়া লেখা যানেনা তারাও ফেসবুক পেশায় জড়িত হচ্ছে, ভাল চেয়েও এই গুরুত্বপুর্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দৈনিক সভ্যসমাজ নষ্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ক্লাস নেওয়ার সময়ও শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বর্তমানে বাংলাদের প্রতিটি শহর, গ্রামের শিক্ষার্থীরাই ফেসবুক আসক্ত হয়ে পড়ছে। তবে অভিভাবকদেও নজরদারি না থাকার কারনেই দিন দিন এর প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। একজন ২য় শ্রেণির ছাত্র যদি ফেসুবক ব্যবহার করে। তাহলে ছোট-বড় সবাই যেন নেশায় পড়েছে ফেসবুকে।
বেশ কিছু অভিভাবক বলেন, বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের বেশিরভাগ খারাপ দিকে প্রবাহী হয়ে পড়ছেন, তারণ কারণ আমাদের সমাজে এক শ্রেণী মানুষের অপব্যবহার শিক্ষা ব্যবস্থা গুণগত মান, বংশ পরিচয়, সমাজের নানা পেশার মানুষের সঠিক সম্মান করতে না পারাতে এক দিকে আমাদের বর্তমান দেশের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে বিগত ৯০ দশকের মানুষের  তুলনায় অনেক খারাপ সময় পরিনিত হচ্ছে বর্তমান জাতীয় সমাজ জীবন।
ফেইসবুক মানে শুধু খারাপ অংশ নয়, ফেসবুক সমাজি যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম, এই সমাজিক ফেসবুক জগতে আপনার হারিয়ে ফেলা অসংখ্য বন্ধু বান্ধব আবারো নতুন করে ছিরে পেতে সুযোগ করেন এই ফেসবুক মিডিয়া।
এখানে চেনা অচেনা দেশি বিদেশী অনেক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠবে, যা আপনার সু-সম্পাক বিরাজ করতে থাকেন। এখানে ভাল বন্ধু হওয়ার পাশাপাশি অনেক খারাপ বন্ধুর সন্ধান পাওয়া যাবে, যারা এই সুন্দর সমাজিক পরিবেশ নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছেন, শুধু বন্ধু- নয় আছে আরো অনেক কিছু বর্তমান সংবাদ ব্যবস্তা বেশির ভাগ অংশ এই মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ছেন, কিন্তু ভাল মানের সংবাদের মধ্যে প্রবেশ করছেন কিছু নিনড়ব মানের আর অর্শিল সংবাদ যার কারণে এক দিকে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন ফেসবুকে সুন্দর এই যোগাযোগের অন্যতম পরিবেশ।
এদিকে, শত চেষ্টা করলেও ফিরিয়ে আনা যাবেনা ফেসুবক থেকে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকে ফেসবুকে। পড়ার সময় না হলেও ফেসবুকের জন্য ঠিকই সময় করেন শিক্ষার্থী’রা।

এবি/টিআর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here