আলোকিত ডেক্স :
রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসার ছয় নিদর্শন হলো-
১. রাসূলের প্রচারিত বাণীর অনুসরণ
আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল (সা.) যে বাণীর প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এবং যে বাণীর প্রচারের জন্য তিনি দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছিলেন, রাসূল (সা.) কে ভালোবাসার প্রথম নিদর্শন হলো সেই পবিত্র বাণীর অর্থাৎ কুরআনকে অনুসরণ করা।
রাসূলের প্রতি ভালোবাসাকে যদি আমরা অন্তরে প্রকৃতভাবে ধারণ করি, তবে আমাদের উচিত হবে নিয়মিত কুরআন পড়া এবং কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনকে পরিচালনা করা।
২. রাসূলের কথা ও কাজের অনুশীলন
রাসূল (সা.) কে যদি কেউ সত্যি ভালোবাসে, তবে তার কাছে রাসূল (সা.) কথা ও কাজের গুরুত্ব থাকবে সর্বাধিক। রাসূল (সা.) এর কথা ও কাজকে তারা নিজেদের জীবনে সর্বোচ্চ চেষ্টার সাথে যথাযথভাবে অনুশীলন করবে।
রাসূল (সা.) এর কথা ও কাজ তার সাহাবাদের সূত্রে হাদীস হিসেবে বর্ণিত আছে। এই হাদীসের অধ্যয়ন করে নিজেদের জীবনে তার অনুশীলন রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসার বড় এক নিদর্শন।
৩. রাসূলের জীবনী সম্পর্কে জানার চেষ্টা
রাসূল (সা.) কে যদি কেউ ভালোবাসে, তবে রাসূল (সা.) রাসূল (সা.) এর জীবনী সম্পর্কে জানার জন্য সবসময়ই তার মধ্যে আগ্রহ থাকবে। রাসূল (সা.) জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তার পছন্দ-অপছন্দ, তার চরিত্র ও আচরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য তার চেষ্টা থাকবে।
রাসূল (সা.) এর জীবনী নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য অনেক সিরাতগ্রন্থ আছে। এসকল সিরাতগ্রন্থ থেকে রাসূল (সা.) এর জীবন সম্পর্কে আমরা ধারণা নিতে পারি। রাসূল (সা.) প্রতি যদি আমাদের মনে ভালোবাসা থাকে, এ ভালোবাসা থেকেই আমরা যেমন নিজেরা তার সিরাত বা জীবনীগ্রন্থ পাঠ করতে পারি, ঠিক তেমনিভাবে অন্যকেও তারজন্য উৎসাহিত করতে পারি।
৪. রাসূলের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানো
কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের নির্দেশ দিচ্ছেন,
“আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্যে দরুদ পাঠ কর এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ কর।” (সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৬)
রাসূল (সা.) কে যে ব্যক্তি ভালোবাসে, তার ভালোবাসা থেকেই প্রতিনিয়ত রাসূলের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠাবে।
৫. রাসূলের পছন্দকে পছন্দ ও অপছন্দকে অপছন্দ করা
কেউ যদি কোনো ব্যক্তিকে অধিক ভালোবাসে, তবে ভালোবাসার ব্যক্তিটির পছন্দও তার পছন্দ এবং অপছন্দও তার অপছন্দ হয়ে যায়।
তেমনিভাবে কেউ যদি রাসূল (সা.) কে অধিক ভালোবাসে, তবে ভালোবাসার দাবি অনুযায়ী রাসূলের পছন্দ-অপছন্দও তার পছন্দ-অপছন্দ হয়ে যাবে। একইভাবে রাসল (সা.) এর ভালোবাসার পাত্ররাও তথা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত উমর (রা.), হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.) ও অন্যান্য সাহাবরাও তার ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হবেন। তাদের কারো প্রতি তার মনে বিদ্বেষ থাকবেনা।
৬. রাসূলের সাথে সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা
কেউ যদি কাউকে ভালোবাসে, তবে সে সর্বদাই প্রতীক্ষায় থাকে তার ভালোবাসার পাত্রের সাথে সাক্ষাতের।
যে ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে ভালোবাসবে, সে সবসময়ই রাসূল (সা.) এর কথা চিন্তা করবে এবং তার সাথে সাক্ষাতের জন্য সবসময় আকাঙ্ক্ষিত থাকবে।
আল্লাহ আমাদের অন্তরে রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোবাসাকে বৃদ্ধি করে দিন এবং আখেরাতে জান্নাতে তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ করে দিন।
ইসলামী বার্তা .কম-এর সৌজন্যে
আরো পড়ুন-