বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টা। স্থান রাজধানীর বনানী কবরস্থান। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছালেন সেখানে। সঙ্গে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকে। পরনে সাদা খোলের কালো পাড় শাড়ি। মুখে বেদনার ছাপ। সেই বেদনার নাম স্বজন হারানোর বেদনা। ৪৪ বছর আগে এই ১৫ আগস্টের ভোররাতেই পরিবারের ১৩ সদস্যকে একসঙ্গে হারিয়েছিলেনি তিনি। বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই, দুই ভাবিসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হারান তিনি। ছোটভাই ১০ বছরের শিশু রাসেলকেও ছেড়ে কথা বলেনি ঘাতকের বুলেট। শেখ হাসিনার সেই প্রিয়জনেরা শুয়ে আছেন বনানীর এই কবরস্থানে। এই সারি সারি সবুজ কবরই তার স্বজনদের চিহ্ন। সেইসব কবরের ওপরেই তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন গোলাপের নরম পাপড়ি। মোনাজাত করে সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের রুহের মাগফেরাতও চাইলেন। মুখে কিছু না বলে কেবল অন্তর দিয়েই স্বজনদের যেন বলে গেলেন না বলা শত কথা।