সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১৪ জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

৪৬ জনের করা রিট আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

জেলাগুলো হলো- পটুয়াখালী, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, যশোর, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, বরগুনা ও ঠাকুরগাঁও।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ষাট শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে।

কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের ঘোষিত ফলাফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই নীলফামারী জেলার পিংকি রানী রায়সহ ২০ জন ও বরগুনা জেলার এক প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আদালত ১৪ জেলার ফলাফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।

গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী ও বরগুনা জেলার ফলাফলের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ১৬ নিয়োগ প্রার্থীর করা আরেক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করেছিলেন।

ওই রিটের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে কামাল হোসেন বলেন,  রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না এবং একইসঙ্গে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফলাফল কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, এর মধ্যে ওই ফলাফল অনুসারে যদি তারা নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তাহলে তা স্থগিতে আমরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হবে। আর আদালতের জারি করা রুল বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর  রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here