মুজিববর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ হিসেবে স্কুলড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রতিমাসে ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হতে পারে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষা-সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা খুশি, তারা নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন। মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি বিতরণ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ) কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণেই প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হয়, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। এর বাইরে এবার মুজিববর্ষে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য এককালীন ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য- দরিদ্র পরিবারগুলোও যেন সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক উপকরণ কিনতে পারে এবং শিশুরা আনন্দের সঙ্গে স্কুলে যেতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের শুরুতেই সারাদেশের প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে নতুন পোশাকের জন্য টাকা দেওয়া হবে। এর জন্য এখন মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এমপি এম আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন শিক্ষা উপকরণ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সংসদ সদস্যদের নিশ্চিত করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নানা রঙ ও সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক তাতে নতুনমাত্রা যোগ করবে।