মোহাম্মদ আলী
গত ১৮ জানুয়ারী ২০২১| সকাল ৭টায় সৈয়দ জালাল উদ্দিন বার্ধ্যক জনিত রোগে মৃত্যু বরণ করেণ। আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধীয় জালাল দা ছিলেন একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সংস্কারক। এত গুণাবলি সম্পন্ন লোক এখন সমাজে খুবই বিরল। আমার অনুভুতি হতে জালাল দা কর্মময় স্মৃতির উদ্যেশে কিছু কথা উপস্থাপন করলাম-
রাজনৈতিক জীবনে জালাল দা…
কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পরেন। ক্লাশে পুলিশ তাঁকে খুঁজতে গেলে শিক্ষকরা তাঁকে আগেই পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিতেন। রাজনীতির পেশা তাঁকে এমন ভাবে পেয়ে বসে তাঁর স্কুলের গন্ডি আর পার হওয়া হলো না। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিত পন্ডিত ব্যক্তি।
রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন কোন বিষয়েই উচ্চশিক্ষিতরাও তাঁর কাছে হার মেনে যেতো। ১৯৫২-১৯৫৭ সাল পর্যাপ্ত তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন। যখন মুসলিম লীগের গুন্ডাদের জন্য দেশে আ.লীগের কোন সভা করা কঠিন কাজ ছিল, তখনো তিনি আ.লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে সভা করেছেন। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনের পথ ধরে (অবিভক্ত আ.লীগের শেষ সম্মেলন) ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে যখন ন্যাপ গঠিত হয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি প্রথমে অবিভক্ত ন্যাপ ও পরে ভাসানী ন্যাপের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন।
তাঁর উদ্যেগেই মওলানা ভাসানী দুইবার বোয়ালখালীতে আগমন করেন। প্রথমবার কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ও পরের বার হাজীর হাটে এই জনসভা দু’টি অনুষ্ঠিত হয়। তিনি পাকিস্তান আমলেই অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রামের তৎকালীন কমিউনিষ্ট নেতা শরদিন্দু দস্তিদার, সুখেন্দু দস্তিদার, পুর্ণেন্দু কানুনগো, চৌধুরী হারুন উর রশিদ ও আহমদ রহমান আজমীরীর সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন।
জালাল দা’র বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি। তাঁর ভাই শহীদ ওসমান গনি ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসানের সাথে বন্ধুতের কারণে এ বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। বিশেষ করে জালাল দা’র প্রায় দুই হাজার বই-এর একটি পাঠাগার, বাড়ীতে গানের আসর, সামনে ফুলের বাগান সবকিছুই আমার কাছে ছিল আকর্ষণের বস্তু।
এক সময়ে ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে জালাল দা’র হাত ধরে আমি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) গ্রুপ-এর সাথে নিজের অজান্তে সমৃদ্ধ হয়ে যায়। আমাদের সাথে তখন যারা ছাত্র ইউনিয়ন করত, তারা হচ্ছে আকুবদন্ডীর প্রয়াত আবুল হাসান, সৈয়দুল আলম, মাহাবুল আলম, ফরিদ উদ্দিন জালাল, ইউসুফ এবং নুরুল কাদের, পোপাদিয়ার সৈয়দ নুরুল হুদা, শফিউল আলম, আবু বকর সিদ্দিকী (আবু), আবদুল হামিদ, ফজলুল কাদের, সৈয়দ আলী আকবর, সৈয়দ আহমদ, গোমদন্ডীর পীযুষ চৌধুরী, প্রকোশলী নূরুল আবসার, আকতার কামাল, সারোয়াতলীর নজরুল, সৈয়দপুরের তসলিম, এডভোকেট শহীদ উল্লাহ প্রমুখ।
পরর্বতীতে তৎকালীন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান ভাই ও জালাল দা’র তত্বাবধানে আমাদের এই গ্রুপটি কাজী জাফরের নেতৃত্বে গঠিত ইউপিপিতে যোগদান করে।
সময়ের পেক্ষাপটে তাঁরা দু’জনেই আবার বিএনপিতে যোগ হয়ে যায়, কেউ কেউ অন্য দলেও যোগ দেয়। রাজনীতিতে নিস্কৃত হয়ে অনেকে হতাশ হয়ে যায়, আবার বিএনপিতেও অনেকে তাদের সাথে যোগদান করেন। জালাল দা’র সাথে আমার রাজনীতির পালা এখানেই শেষ।
আমি যেহেতু আগের থেকেই শ্রমিক আন্দোলনে জড়িত ছিলাম, তাই আশি’র দশকের ‘স্কপ’ গঠিত হলে আমি সে আন্দোলনে জড়িয়ে যায়। আন্দোলনের মাঠেই আমার সাথে পরিচিত হয় বর্তমান সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম ভাই-এর সাথে। এক সময় তাঁর হাত ধরেই আমি সিপিবিতে যোগদান করি। উল্লেখ্য যে, জালাল দা আমাদের কখনো বিএনপিতে নেয়ার চেষ্টা করেন নি।
আমার সাথে তাঁর আমৃত্যু সর্ম্পক ছিল ভাই-এর মত। বরং আমি সিপিবিতে যোগ দেওয়ায় তিনি খুশিই হয়েছিলেন। তাই আমাদেরকে পার্টি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নিয়মিত চাঁদা দিতেন, পরামর্শ দিতেন। তাই মনে হতো যে কোন কারনে দল বদলে করলেও তাঁর আজীবন লালিত স্বপ্ন সমাজতন্ত্রের কথা তিনি কখনো বিস্মৃতি হন নি।
যেহেতু তাঁর সব চাইতে কাছের কর্মী তাই পার্টির কোন কর্মসূচী থাকলে প্রথমে আমাকেই ডেকে নিতেন। আমিও হ্যামিলনের বংশী বাদকের মত তাঁর পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াতাম। বয়সের ব্যবধান থাকলেও তাঁর মধ্যে এমন একটা প্রতিভা ছিল সারাদিন হাঁটলেও ক্লান্তি লাগাতো না। তাঁর চলনে-বলনে একটা আন্তরিকতার ছাপ ছিল। দক্ষিণ চট্টগ্রামের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে তাঁর পরিচিত দু’চার জন নেতা কর্মী ছিলনা। তখন মোবাইল ছিল না। তাই গ্রামের পথে প্রান্তরে হেঁটে হেঁটে পার্টির কাজ করতে হতো। বর্তমান রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য এটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।
আমি জালাল দা’র প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এ জন্য যে, যদি না আমার বাড়ি তাঁর পাশের বাড়ী হতো, যদি না তিনি আমাকে শৈশবেই মার্কসবাদ, লেলিনবাদ দর্শনে দীক্ষিত করতেন, তাহলে আমার জীবনটাও হয়তো আজকের নষ্ট রাজনীতির বেড়াজালে আটকে যেত।
শিক্ষানুরাগী জালাল দা…
তিনি দীর্ঘদিন কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় ও বোয়ালখালী এস আই কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি কউবি প্রাক্তণ ছাত্র সমিতির সহ সভাপতি ছিলেন। গ্রামের গরীব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য তিনি আজীবন সাহায্য করেছেন। বহু ছেলে মেয়ে তাঁর সাহায্য ও পরামর্শে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। পার্টির কোন ছেলে বাড়ীতে লেখাপড়ার ব্যাঘাত হলে তাঁর কাচারী ঘরে এনে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। এটা ছিল যেন একটা মিনি ছাত্রাবাস। আমার পরিবারও তাঁর সহযোগীতা না পেলে আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতো না। তাই জালাল দা’র কাছে আমি আজীবন ঋণী।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জালাল দা…
জালাল দা ছিলেন সাহিত্য সংস্কৃতিতে একজন সমৃদ্ধ মানুষ। তাই তিনি লাইব্রেরী থেকে ছাত্রদের হাতে বই তুলে দিতেন। এতে তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিলো এক ঝাঁক প্রগতিশীল সংস্কৃতিবান রাজনৈতিক কর্মী সৃষ্টি করতে। তিনি কধুরখীল গ্রামে অনুষ্ঠিত ষাটের দশকের শেষের দিকে রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকীর অন্যতম উদ্যক্তা ছিলেন। এই আকুবদন্ডী গ্রামে বহুবার রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎযাপন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন সংস্কৃতিবিহীন রাজনীতি দেশের জন্য কোন সুফল বয়ে আনবে না। আজকের বাংলাদেশ তাই প্রমান করে।
মুক্তিযোদ্ধা জালাল দা…
জালাল দা ছিলেন এক দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর দলের একদল মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে ১৯৭১সালের ৮আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ফালান শাহার নেতৃত্বে সকালে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী গামী বাসে যাত্রা করে। সে দলে ছিল বাঁশখালীর মৃদুল গুহ, অপু চৌধুরী, বোয়ালখালীর আবদুল হামিদ (পোপাদিয়া), আকতার কামাল, আবুল মোমেন ও আবুল মনসুর (আকুবদন্ডী)।
দূর্ভাগ্যবসত এই প্রুপটি মিরশ্বরাই থানায় পৌঁছলে সেখানে পাঞ্জাবী সৈন্য ও আলবদরের একটি দল তাঁদেরকে আটক করে ফেলে। বয়সানুক্রমে তাঁদের দুই দলে ভাগ করে একটি দলকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে দলে ছিল মোমেন, আকতার ও হামিদ। এভাবে তাঁরা সেদিন প্রাণে বেঁচে যায়।
অপর দিকে অন্য একটি দলকে পার্শবর্তী নির্যাতন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দলে ছিল শহীদ ওসমান, শহীদ অপু এবং মৃদুল গুহ তাদেরকে নির্মম ভাবে অত্যাচারের পর ও স্বীকারোক্তি না দেওয়ায় একটি নির্জন দিঘীর পাড়ে নেওয়া হয়। এখানে নির্যাতনের এক নির্মম চিত্র পাওয়া যায়। সে দিনের আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শ’। এর মধ্যে একজন চা দোকানের কর্মচারীকে তারা কোন স্বীকারোক্তি বের করতে না পেরে নির্যাতনের পরিমান ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দিল। আসলে তাঁর কাছে দেবার মত কোন তথ্য ছিল না। কারন সে একজন সাধারণ মানুষ। এক পর্যায়ে অফিসারের নির্দেশে দুই জন সৈনিক তার দুই উরু ফাঁক করে তার অন্ডকোষে আঘাত করতে করতে থেতলিয়ে দিল। এই ভাবে তার ইহলীলা সাঙ্গ হলো। সারা দেশে এমনই ছিল পাঞ্জাবী আলবদর আর রাজাকারের নির্য্যতনের চিত্র। তাই যারা এখনো এসব নরপুরুষদের প্রতি সহানুভূতি এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ঘৃণা পোষন করেন তাদেরকে বলবো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোকাব পড়ুন এবং জানুন।
এর পরের ঘটনা আরো মর্মান্তিক। ওসমান, অপু এবং মৃদুলসহ আরো অনেকের সাথে ব্যয়নট চার্জ ও গুলি করে পার্শবতী দিঘীতে ফেলে দেওয়া হলো। অপু ও ওসমান এখানেই চিরতরে শুয়ে পড়ল। মৃদুল গুহ পরর্বতীতে প্রযিতযশা (আইনজীবি ও লেখক) ভাগ্যক্রমে বেঁেচ গেল। জ্ঞান ফিরে এলে সে পাশ্ববর্তী একটা বাড়িতে একটু পানি পান করতে চাইলে কেউ ভয়ে বের হয়ে আসে নি। সকাল হলে এক লোক তাঁকে গরম দুধ ও পাউরুটি খাওয়ায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে চট্টগ্রাম গামী একটি ট্রেনে শুয়াইয়া দেন। চট্টগ্রাম স্টেশনে রেলের গার্ড- এ অসুস্থ লোকটিকে শুয়ে আসতে দেখে হাসপাতালে ফোন করে এ্যাম্বুলেন্স করে পাঠিয়ে দেন। অতঃপর সে সুস্থ হয়ে আবারো বিভিন্ন অপারেশনে যোগদান করে। এই মৃদুল জালাল দা’র বাড়িতে থেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আর উল্লেখিত ওসমান হচ্ছে জালাল দা’র ছোট ভাই। সে খাদ্য বিভাগে সরকারী চাকরী করত। আমার বাল্য বন্ধু। অনেক স্মৃতি এই ওসমানকে নিয়ে। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে। ঘর বাঁধা আর হলো না।
১৯৭১ সালের ১,২ জুন কলকাতার বেলেঘাটায় এক সম্মেলনের মাধ্যমে মওলানা ভাসানীকে সভাপতিকে করে ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’ নামে চীনপন্থি পার্টি গুলির এক ঐক্যমোর্চা গঠিত হয়। তারই ফলশ্রুতিতে বোয়ালখালীতে কাজী জাফরের নেতৃত্বে গঠিত সৈয়দ জালাল উদ্দিনের স্থানীয় নেতৃত্বে এবং দেবেন সিকদারের ও স্থানীয় নেতা আবুল হাসানের তত্বাবধানে বিশাল এক বাহিনী ঐক্যবদ্ধভাবে অপারেশান শুরু করে।
ইতোমধ্যে পোপাদিয়ার একটি ঘটনা মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার তারিখ ১৮ জুন ১৯৭১। নুরুল হুদা, আলী আকবর, এডভোকেট শহীদ উল্লাহ আসছিলেন নদী পার হয়ে রাউজান থেকে। আর সেখানে ক্যপ্টেন করিমের সাথে এক বৈঠকে মিলেছিল। আশার পথে ঈশ্বরভট্টের বাজারে এসে নুরুল হুদা ও আলী আকবর রাজাকারদের হাতে আটক হয়। শহীদ উল্লাহ কৌশলে রক্ষা পেয়েছিলেন। এর আগে বোমা বানাতে গিয়ে আহত অনিক চন্দকে রাজাকারেরা আটক করে। তিনজনকেই সার্কিট হাউজের টর্সার সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে রাজাকারদের আস্ফালন দেখে কে?
মুক্তিযোদ্ধারা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে। অবশেষে কাপ্টেন করিমের নেতৃত্বে বোয়ালখালী পটিয়ায় কিছু মুক্তিযোদ্ধা এই অপারেশান সংগঠিত করে।
বামপন্থীদের ৩টি গ্রুপের সমন্বয়ে এ অপারেশন হয়। তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে যে রাজাকার চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ও মেম্বার খায়ের আহমদ ও অলি মিঞা ধরিয়ে দিয়েছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে নিহত হলেন এবং এ খবরটি স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়া এ দলটি আরো অনেক অপারেশান সম্পন্ন করে। যে গুলির মূল রূপাকার ছিলেন সৈয়দ জালাল।
দুঃখের বিষয় তিনি শুধু দলীয় পরিচয়ের কারনেই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পেলেন না। পেলেন না মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মানও।
প্রিয় জালাল দা আজ আমাদের মাঝে স্ব-শরীরে নেই। কিন্তু তাঁর আচার ব্যবহারে মুগ্ধ অনেকের কাছে চিরদিন মনে থাকবে। যে মানুষটি দেশের জন্য মানুষের জন্য অনেক করলেন আমরা পারিনি তাঁর জন্য কিছু করতে। তাই জালাল দা যেখানে থেকো ভাল থেকো। আর আমাদের ক্ষমা করে দিও।
পরিশেষ কবির ভাষায় বলতে চাই,
জালাল দা তোমার মৃত্যু নাই
‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাহাই তুমি করে গেলো দান।’
আরো পড়ুন-