ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, এবছর যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উৎসব উদযাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয় কার্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৮৪তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় এবারের প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত এক কোটি টাকার বিশেষ অনুদান বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এক কোটি ২৭ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। এছাড়াও ট্রাস্টের নতুন জনবল কাঠামোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আমরা একটি আদর্শ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কাজ করে যাচ্ছি। তার নির্দেশনার আলোকে আমরা সবাইকে নিয়ে যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে যাবো।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় প্রকাশিত পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সভায় সম্প্রতি উখিয়ায় সংগঠিত চার জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় সভায়। একইসঙ্গে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এর আগে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বুধবারের সভায় ওই ঘটনাস্থল পুনঃপরিদর্শন করে সমবেদনা জ্ঞাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মো. আনিছুর রহমান, ট্রাস্টি দয়াল কুমার বড়ুয়া, মং ক্য চিং চৌধুরী, খে মংলা রাখাইন, দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, ডালিম কুমার বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংস্থা) মু. আ. হামিদ জমাদ্দার এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন।