সৈয়দ আবু সুফিয়ান

ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ।চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের স্বনামধন্য কাজি পরিবারে ১৯৩৮ সালে জন্ম নেন এই শিক্ষাগুরু ।সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্টিকুলেশন পাশ করে ভর্তি হন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে ।এই কলেজ থেকেই বি. কম পাশ করেন ।১৯৫৭ সালে কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ।শিক্ষকতা পেশায় থাকাকালীন সময়ে বি .এড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথমস্থান অধিকার করেন ।এরপর ১৯৭৪ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি লাভ করে দীর্ঘ প্রায় একান্ন বছর এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন ।নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে বিদ্যালয় সংলগ্ন কধুরখীল, আকুবদন্ডী ও গোমদন্ডী গ্রামে এমন কোন ঘর পাওয়া যাবে না,যেখানে কাজি আবদুল গণি ছাবেরির ছাত্র নেই।যার আলোতে আলোকিত হয়েছে বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামগুলো।শুধুমাত্র একজন শিক্ষাগুরুই ছিলেননা,ছিলেন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব,সামাজিক আন্দোলনের অগ্রদূত,সামাজিক সংগঠক,সর্বোপরি পুরো সমাজের অভিভাবক।যার ছায়ায় জন্ম নিয়েছে কতেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনৈতিক নেতা,শিক্ষক।উনার সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় এই বিদ্যালয়ে ১৯৬৫ সালে।ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ আহবায়ক, অন্য আহবায়ক ছিলেন প্রয়াত রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল হারুন।দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার নেতৃত্ব প্রদান করেন।উনার প্রস্তাবনায় চট্টগ্রামে একুশে মেলা উদযাপন শুরু হয়।বোয়ালখালী ক্রীড়া সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নিজ হাতে বোয়ালখালী উপজেলা শিক্ষক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। উনার তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আকুবদণ্ডি ক্রীড়া সমিতি।ছিলেন কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সমিতির স্বপ্নদ্রষ্টা।কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ অর্জন করেন একুশে মেলা শিক্ষা পদক, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পদক।মহান এই ব্যক্তিত্ব ২০১৩ সালের ৫-ই মে মৃত্যু বরণ করেন। মহান এই শিক্ষাগুরুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্বা জ্ঞাপন করছি।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here