লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজার চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে তরকারিতে কাঁচা পেঁপে ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা। আমদানির ঘোষণা দেওয়া এস আলম গ্রুপের ৫৫ হাজার টন পেঁয়াজ এখনও বন্দরে এসে পৌঁছেনি। তাই এ সংকট সহসাই কাটছে না বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।

শুধু পেঁয়াজের ঝাঁজই বাড়েনি, বেড়েছে আদা-রসুনের দামও। চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শীতকালিন সবজির বাজারেও আগুনের হল্কা। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নগরের পাইকারি বাজার রেয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে জানা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকা, শিম ১১০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা,  মুলা ৪০ টাকা,  ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, তিতকরলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, শসা  ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬০ টাকায়।

তবে অপরিবর্তিত আছে মাংসের দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ১১৫-১২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা, হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৭০০ টাকা, হাড়সহ ৫৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার মাছের দামও তেমন বাড়েনি। রূপচাঁদা ৬০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০ টাকা, রুই ২০০-২৫০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা, কৈ  ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৪৫০-৬০০ টাকা, আধাকেজি ওজনের ইলিশ ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here