বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অতি পরিচিত একটি ফল হলো পানিফল। শুধু গ্রামে নয়, শহরের বাজারে বা ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ীদের কাছেও দেখা মেলে এই ফলের। পানিফলের আরেকটি নাম শিংড়া। ফলগুলিতে শিংয়ের মতো খাঁজকাটা থাকে বলেই এ রকম নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কোথাও কোথাও একে পানি সিংগাড়া নামেও ডাকা হয়।

পানিফলের পুষ্টিগুণ :-

পানিফল পুষ্টিতে ভরপুর। কার্বোহাইড্রেড, ও শর্করা আছে। তাছাড়া বেশ ভালো পরিমাণ আঁশ, রাইবোফ্লেবিন, ভিটামিন (বি,সি এবং ই), পটাসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন ও ভিটামিন আছে। পুষ্টিগুনের বিচারে পানিফলে খাদ্য শক্তি আছে ৬৫ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৮৪.৯ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম, প্রোটিন ২.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৯ গ্রাম, শর্করা ১১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ১০.১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই  ২০.০৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৫ মিলিগ্রাম।

পানিফলের ঔষধি গুণ :-

পানিফলের শুধু খাদ্যগুণই নয় রয়েছে ঔষধি গুণও। পানিফলের শাঁস শুকিয়ে রুটি বানিয়ে খেলে অ্যালার্জি ও হাত পা ফোলা রোগ কমে যায়। উদরাময় ও তলপেটে ব্যথায় পানিফল খুবই উপকারী। এছাড়া উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সহায়তা করে পানিফল। পানিফল চুল ভালো রাখে।

পানিফলের উপকারিতা :-

শরীর ঠাণ্ডা করতে পানিফলের জুড়ি নেই। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে দারুণ কাজ দেয় পানিফল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পানিফল। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে এই ফলের। এমনকি অ্যান্টিক্যান্সার হিসেবেও কাজ করে পানিফল। বমিভাব, হজমের সমস্যা দূর করতে পানিফলের জুড়ি নেই। অনিদ্রা, দুর্বলতা দূর করতে কাজে দেয় এই ফল। পানিফল ঠাণ্ডা লাগা, সর্দিতেও স্বস্তি দিতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যানিমিয়া কমাতে পারে এই ফল। পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে পানিফল। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ রাখতেও পানিফল অনবদ্য। পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ভরপুর পানিফল চুল ভালো রাখে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here