সামাজিক দায়বদ্ধতা পরিপেক্ষিতে সম্প্রতি তিনটি পাঠাগারকে প্রায় সত্তুর হাজার টাকা মূল্যের ৩৩২ টি বই প্রদান করেছি। , পাঠাগার গুলো হল যথাক্রমে বাঁশখালী উপজেলার কুতুবখালী এলাকার উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী, চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগ এর পূর্বা গণগ্রন্থাগার, আনোয়ারা উপজেলার শোলক কাটার হারুন- সালমা পাবলিক লাইব্রেরী।
আমার শৈশব কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে, বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা সাধারণ পাঠাগারে, ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল,, এতে প্রাচীন ও দেশি-বিদেশি হাজার দুর্লভ বইয়ের সমাহার ছিল, এই সমৃদ্ধ পাঠাগারের পরশেই আজকের এই আমি, পাঠাগারের প্রতি সব সময় আমার একটি দুর্বলতা ছিল আছেএবং থাকবে। কিন্তু বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাঠাগার গুলোর খুবই করুণ অবস্থা। এই পাঠাগার গুলোর পরিচর্যা করার লোকের আগ্রহ কমে গেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও খুব একটা নেই,। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও কিছু কিছু আলোকিত মানুষ পাঠাগার গুলো সচল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,। এসব নিঃস্বার্থ সমাজসেবী আলোকিত মানুষগুলোর প্রতি আমার টুপি খোলা সালাম সব সময়।
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। বিত্ত-বৈভব আমার কিছুই নেই, আমার একটি ছোট প্রকাশনা সংস্থা আছে। সেই সূত্রে আমার কাছে কিছু বই আছে . আমি মনে করি এই বই গুলো দিয়ে কিছুটা হলেও প্রকৃত সচল পাঠাগার গুলোকে সহযোগিতা করতে পারি। আমার এই ভাবনা থেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিই। এতে বেশকিছু পাঠাগার আমার সাথে যোগাযোগ করে। সেখান থেকে নির্বাচিত তিনটি পাঠাগার কে বই প্রদান করলাম। আশাকরি আগামীতে ও আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here