চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-নগর আংশিক) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওই প্রযুক্তিভীতি দূর করতে ভোটের দুদিন আগে ১১ জানুয়ারি এই আসনের ১৭০ কেন্দ্রের সবগুলোতে ইভিএমে পরীক্ষামূলক ভোট (মক ভোটিং) অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে মক ভোটিংয়ের আগে ৬ ও ৭ জানুয়ারি আসনের জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৩ জানুয়ারি এখানে ভোটগ্রহণ।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে একটি করে ইভিএম মেশিন। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ মোটামুটি ভোটের সব প্রস্তুতিই থাকবে। ভোটাররা আঙুলের ছাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের ছবি, ভোটার নম্বর ইত্যাদি প্রদর্শিত হবে। মূলত প্রযুক্তি নিয়ে ভোটারদের ভীতি দূর ও নির্বাচনের দিনের জটিলতা এড়াতে এই মক ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যায়, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি করে ইভিএম মেশিন দেওয়া হবে। এতে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটাররা পরীক্ষামূলকভাবে ভোট দিতে পারবেন। ইভিএম মেশিনের ত্রুটি-বিচ্যুতি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারবেন ভোটাররা। এ ছাড়াও টেকনিক্যাল টিমের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া ভোটের দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কেন্দ্রে বিকল্প ইভিএমের ব্যবস্থা থাকবে বলে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
গত ৭ নভেম্বর সাংসদ মইন উদ্দিন খান বাদল ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
১৩ জানুয়ারির এই উপনির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপির আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম- ৮ আসনটি জেলার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়ন, পূর্ব গোমদণ্ডী ইউনিয়ন, শাকপুরা ইউনিয়ন, সারোয়াতলী ইউনিয়ন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন, আমুচিয়া ইউনিয়ন ও আহল্লা করলডেঙা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী অংশে ভোটার এক লাখ ৬৪ হাজার ১৩১ জন। আর নগরের অংশে রয়েছে তিন লাখ ১১ হাজার ৮৬ ভোটার। ভোটকেন্দ্র ১৭০টি; বোয়ালখালীতে ৬৯টি ও নগরে ১০১টি। ভোটকক্ষ হচ্ছে ৮৫০টি।