নগর প্রতিবেদক:
পরিবার থেকেই পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
৭০’ এর ভয়াল ১২ নভেম্বর স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নগরীর হালিশহরে ‘উপকূল রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার তিনি এ কথা বলেন।
আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপকূল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপকূল গবেষক এম আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত দুর্যোগের মুখে পতিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির কারণ না হয়েও বাংলাদেশ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি প্রবন্ধে আরও বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াবহ প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তিনি ১২ নভেম্বরকে জাতীয় উপকূল দিবস ও বিশ্ব উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি করে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী উপকূল ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ কেন্দ্র চট্টগ্রাম, কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় মহা বিপর্যয়কারী পলিথিনকে বর্জন করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প বাজরে আনতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বজ্রপাতের আধিক্যের দিকে নজর রেখে উপকূলীয় এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে তালগাছের বেষ্টনি তৈরি করতে হবে। এসব কাজে তিনি উপকূল ফাউন্ডেশনের অধিকতর কর্মতৎপরতা আশা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনিস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ও ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রধান সম্বনয়কারী এম জহিরুল আলম, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের এজিএম প্লান্ট এবং সি.ই.ও ইকোভ্যালি বিডির ইঞ্জিয়ার আমিনুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোমা বড়ুয়া, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্বেচ্ছাসেবী ইউনিটের সভাপতি মো. কামাল, সেক্রেটারি মো. জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, দপ্তর সম্পাদক উর্মি বড়ুয়া। শতাধিক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে উপকূল ফাউন্ডেশন ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ও ‘বিশ্ব উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিসহ জাতীয় সেমিনার পালন করে আসছে।