অসাধারণ দায়িত্ববোধ, সহমর্মিতার গভীর জীবন দর্শন ও নিরলস শ্রমের এক অবিস্মরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। এক শোকবার্তায় স্যার ফজলে হাসান আবেদকে এভাবেই মূল্যায়ন করলেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান।

হোসেন জিল্লুর আরো বলেন, সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষটারও ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে, এই বিশ্বাসে ভর করেই সফলভাবে গড়েছেন বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ যা সারা বিশ্বে সমাদৃত। কিন্তু ঐ সাহস, ঐ আকাঙ্ক্ষা একেবারেই শেকড় থেকে আসা। চলে যাওয়ার বেদনার এই মুহূর্তেও পরপার থেকে তার স্মিত হাসি তাই ভরসা দিচ্ছে সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ ও শ্রম আঁকড়ে ধরে আরও বহুদূর যাওয়া যাবে, যেতে হবে। কারণ পৃথিবীতে ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের সংখ্যা এখনও অগণিত। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায়।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৮৩ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা শ্রেনীর পেশার মানুষ তার মৃত্যুতে শোক জানান।

গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় ফজলে হাসান আবেদকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর তাকে চেয়ারপারসন নির্বাচিত করেন ব্র্যাকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। পরবর্তীতে তিনি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তত্ত্বাবধায়ক পর্ষদেরও চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here