নগর প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের সম্মিলিত সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদ বাংলাদেশ, লেখক-সাহিত্যিক ও গবেষক পরিষদ, লোককলা চর্চা কেন্দ্র বাংলাদেশ, ড. বিকিরণ-প্রীতিকনা ফাউন্ডেশন, রমেশ-বিনয়-শেফালী চর্চা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদ, সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন বুড্ডিষ্ট স্টাডিজ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে ‘সিআরবি’র ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রাণ প্রকৃতি অটুট থাকুক’ শিরোনামে আলোচনা সভা, বৃক্ষ রোপন, বৃক্ষের চারা বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, কবি গান সহ ব্যাপক কর্মসূচি ৩০ আগস্ট বিকাল ৩.০০ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভৌত বিজ্ঞানী, চবি অধ্যাপক বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। খ্যাতিমান ভাস্কর ডি.কে. দাশ (মামুন) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ শেখ এ. রাজ্জাক রাজু, চবি অধ্যাপক জাহেদ আলী চৌধুরী, অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, যুবনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেখক কালামিষ্ট এ কে এম জাহেদ চৌধুরী, সংগঠক সুকুমার দত্ত, নাট্যজন শেখ শওকত ইকবাল, শ্রমিকলীগ সহ-সভাপতি কাঞ্চন দাশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারীলীগের সভাপতি গোলাম আকবর, রাঙ্গুনিয়া কৃষকলীগ সহ-সভাপতি রফিক আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সংগঠক সিদ্দিকুল ইসলাম, জাতীয় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সভাপতি স্বপন বিশ^াস, অধ্যাপক সবুজ কান্তি দে, সাংবাদিক মুকুল শিকদার, সংগঠক প্রদীপ বড়ুয়া আনন্দ, ভাস্কর পিযুষ সরকার, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, শিল্পী এম.এ হাশেম, সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া, আই.টি এক্সপার্ট মো: রাকিব, চাউক কর্মচারী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম পাটোয়ারী, সংগঠক মো: হোসেন, শিক্ষক তরনী সেন, বাচিক শিল্পি দিলরুবা খানম, সংগঠক কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য্য, নাট্যকর্মী জাহানারা পারুল, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, শিল্পী জ্যোতি শর্মা, নাট্যকর্মী এমরান হোসেন মিঠু, হাফেজ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভা শেষে অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে সিআরবি’তে গাছের চারা লাগান এবং ফলদ, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষের ২০০০ চারা সর্বসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন।
কর্মসূচির মহাসচিব সংগঠক মো. তাজুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া বলেন- সিআরবি চট্টগ্রামের এক অহংকারের ঐতিহ্য। ছায়া ঢাকা সর্পিল পথের দু পাশে ছড়িয়ে আছে বৃটিশ-পাকিস্তান-স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে লালিত বহু অমূল্য আকরিক বিষয়-আশয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের আঞ্চলিক সদর দপ্তর হিসেবে এটি পরিচিত হলেও এখানেই শুয়ে আছে একাত্তরের রনাঙ্গণে বুক পেতে দেওয়া অনেক শহীদের শোনিত-অস্থি-চেতনা। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে আসে শ্রান্তি লাঘব মানসে। তাই এই ইতিহাস- ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক বৈভব সংরক্ষণ আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়। এখানকার প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে অনুধাবনের বিষয়। যে কোন অবিবেচকী সিদ্ধান্ত বুমেরাং কিংবা বিধ্বংসী গজাল হয়ে উঠতে পারে মানবিক মূল্যবোধের বিপরীতে। জীবনকে সবুজ, সতেজ ও সত্যের অভিমুখী করে তোলার জন্য সিআরবি’র সবুজ কেড়ে নেওয়া আত্মঘাতী বিষয় হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই লোকায়ত বাংলার কবিগানের লড়াইয়ে অংশ নেন বিশিষ্ট কবিয়াল আবদুল লতিফ, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে এবং হরিপদ দেয়ারী।
শেষ পর্বে উদ্বুদ্ধকরণধর্মী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় আবৃত্তি, একক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন – শিল্পী এম.এ হাশেম, শিল্পী হানিফুল ইসলাম চৌধুরী হানিফ, শিল্পি উজ্জ্বল সিংহ, বৃষ্টি দাশ, তাহেরা খাতুন, আজগর আলী, নন্দীনি দেব, জ্যোতি শর্মা, মৈত্রী আচার্য্য, মোঃ মিজান, কণিকা দাশ, সুপ্রিয়া দাশ প্রমুখ।