আবো. প্রতিবেদক
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে একদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে আর অন্যদিকে হাজারে হাজারে আক্রান্তের বিপরীতে হাসপাতাল ও চিকিৎসা সঙ্কটে প্রায় ৭০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিক চট্টগ্রামে চারদিকে হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসোলেশন সেন্টার গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সফল ৭ জন তরুণ ব্যাক্তিত্ব।
নগরীর মুরাদপুর এলাকায় সুবিশাল এলাকাজুড়ে এই আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা উইন্ড অব চেইঞ্জ ও হাইড আউটের চেয়ারম্যান সৈয়দ রুম্মান আহাম্মেদ, সানশাইন স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাফিয়া গাজী রহমান, র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লি.’র প্রধান নির্বাহী ও সেলিব্রেটি সোস্যাল এক্টিভিস্ট প্রকৌশলী তানভীর শাহরিয়ার রিমন, চট্টগ্রামের ওষুধ শিল্পের সফল উদ্যোক্তা, এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত, বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজরুল হক, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ বকুল এবং সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন সৈয়দ একরামুল হকের উদ্যোগে এই আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে।
আইসোলেশন সেন্টারের অন্যতম উদ্যোক্তা সৈয়দ রুম্মান আহাম্মেদ জানান, করোনা মহামারীর ভয়াবহতায় রীতিমত বিপর্যস্থ চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর সারি। এই অবস্থায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসোলেশন ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।
এ উদ্যোক্তা আরও বলেন, ১০০ সয্যার এই আইসোলেশন সেন্টারে ১০০ জন করোনা আক্রান্তকে অক্সিজেন সাপোর্ট থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে। এই লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের নিজেদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা ও সেবা সরঞ্জাম নিয়ে নগরীর যে কেউ এগিয়ে আসতে পারেন।