অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসায় উপকূলের জেলাসমূহের নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসার কারণে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (১৮ মে) অনলাইন ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, সম্মানিত প্রিয় দেশবাসী। আসসালামু আলাইকুম। ‘আপনারা জানেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। উপকূলের নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা, আপনারা মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবেন।’
ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আমার কথা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের আশ্রয় নেওয়ার বিষয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। গর্ভবর্তী নারী, নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে। এরপর অন্যরা। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা আমরা করেছি।
‘পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা ২১ লাখের মতো মানুষকে রাখার পাশাপাশি এলাকার সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ঘূর্ণি দুর্গত মানুষদের আমরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে রাখতে পারবো ইনশাল্লাহ।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।