news paper

সেলিম চৌধুরী

একদিকে ফুলকপি হাতে দলবল বেঁধে  মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন  নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাসির উদ্দীন । বিশ্রাম- ঘুম হারাম করে  সকাল থেকে রাত অব্দি একের পর মিটিং মিছিল, শোডাউন করে যাচ্ছেন তাঁর অনুসারীরা। টার্গেট যে কোন ভাবেই  চট্টগ্রাম ৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী কে জিতানো। 

জোট গত সমঝোতার কারনে আওয়ামীলীগ থেকে নিজের মনোনয়ন হারিয়ে বর্তমান এম.পি নোমান আল মাহমুদ ও ছুটেছন হটাৎ করে আবিস্কার হওয়া এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। একই সাথে আট-ঘাট বেঁধে নেমেছেন বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা,  ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, দিন রাত দৌড়াচ্ছেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম কে জোট প্রার্থী সোলাইমান শেঠ এর সাথে দেখা গেলেও পরে আবার  উল্টে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী সাথে ছুটছেন তিনি ।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুস ছালামের কেটলি মার্কার  পক্ষে মাঠে নেমেছেন নগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা সহ সভাপতি এস এম আবু কালাম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি নুরুল আমিন, সহ সভাপতি রেজাউল করিম  বাবুল, বেলাল চেয়ারম্যান , দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জাহিদুল হক, জানে আলম, পৌর সভা আওয়ামীগের সভাপতি শফিউল আলম সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকারিয়া, যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন এটা নিজেদের  গ্রুপের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছেন তাঁরা।  তিনি আরো বলেন নগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ৮ আসনের বর্তমান এমপি নোমান আল মাহমুদ  নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির গ্রুপের লোক হিসেবে পরিচিত , তিনি ২৩ সালে এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে পিছন থেকে অনুসারী নেতা কর্মীদের নিয়ে কাজ করেছেন আ.জ.ম নাছির, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান নোমান আল মাহমুদ, পরে জাতীয় পার্টি সাথে সমঝোতা কারণে পাওয়া   মনোনয়ন হারান তিনি, এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে এই আসনে  স্বতন্ত হিসেবে নির্বাচন করতে নেমে পড়েন নগর আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুস ছালাম। উনি আবার নাছির গ্রুপের অপছন্দের লোক। নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের  দন্ধ বিরোধ অবস্থাদৃষ্ঠে তিনি একাই মাঠে বিচরণ করলে সহজে বিজয়ী হয়ে আসতে পারে। এদিকে জোটগত সমঝোতার  প্রার্থী সোলাইমান আলম শেঠকেও মেনে নিতে পারছেন না  এই গ্রুপ টি। কারণ হিসেবে বলেন ভালো লোক হিসেবে পরিচিত  নোমান আল মাহমুদ এমপি হওয়ার পর গুটি কয়েক জনের নিয়ন্ত্রণে  চলে যান তিনি। টিআর কাবিখা সহ উন্নয়ন প্রকল্প গুলো নিজরা নিজেদের মত করে করেছেন তাঁরা।   নোমান আল মাহমুদের মনোনয়ন হারানোয় দিশা হারা হয়ে নিজের গ্রুপের  হঠাৎ আবিস্কৃত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীকে মাঠে নামিয়ে তাঁর  পক্ষে নেমে পড়েন গ্রুপটি।

এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল হিসেবে মাঠে বিচরণ করছেন তাঁরা। একদিকে অপছন্দের স্বতন্ত্র প্রার্থী  ছালাম কে ঠেকানো অপরদিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন ! এলাকায় ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায় দ্বাদশ সংসদে মনোনয়ন ফরম নিয়ে মাঠে নামার আগে কেউ তাকে চিনতো না তিনি কে, কোথায় তার বাড়ী ! পাশের গ্রামের লোকজনও কোনদিন তার নাম শুনেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় একসময়ে নগরীর জামালখান এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। পরের বার নির্বাচনে হেরে ব্যাবসায় নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে ।

এদিকে জোটগত সমঝোতা প্রার্থী সোলাইমান আলম শেঠ এর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য বোরহান উদ্দিন এমরান, এফবিি ডিরেক্টর ও দক্ষিণ জেলা সদস্য খোরশেদ আলম  সহ নগর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা,  সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here