দিপানন্দ ভিক্ষু (এম.এ ডবল ও এলএলবি)
চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার হাজারীচর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাস্টার পুলিন বিহারী বড়ুয়া এবং মাতা আশালতা বড়ুয়া। পড়ালেখা করেছেন বশরতনগর ফ্রি প্রাইমারী স্কুল, গোমদন্ডী জুনিয়র হাই স্কুল এবং শাকপুরা মডেল হাই স্কুলে।
১৯৬৫ সালে শাকপুরা মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি, কানুগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সিটি কলেজ থেকে বি.কম পাশ করেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নিজ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেন। ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে ঢাকায় এসে মাননীয় শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর কাছে আশ্রয় নেন। ১৯৭২ সালে একটি বিখ্যাত প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানে হিসাব রক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কর্মদক্ষতায় তিনি একই প্রতিষ্ঠানে জেনারেল পদে ম্যানেজার পদে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।
এরপর প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান ফাল্গুনী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। তিনি এফবিসিসিআই, জেবিসিসিআই, আইবিসিসিআই প্রভৃতি ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তিনি বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহ-সভাপতি ও বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের সহকারী মহাসচিব। ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজসেবাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।
সমাজসেবায় বিশেষে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি অনেক জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পুরষ্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক স্বর্ণপদক ১৯৯৮, কলকাতার কলাকীর্তি কর্তৃক আর্ন্তজাতিক সদভাব স্বর্ণপদক ১৯৯৯, ইন্টারন্যাশনাল ব্রাদারহুড মিশন আসাম কর্তৃক ধর্মরত্ন উপাধি ১৯৯৯, মহাত্না গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড ২০০৮, বঙ্গবীর ঈশা খা স্বর্ণপদক ২০০৮, মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ২০০৮, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক ২০০৯, বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ২০০৯, হিউম্যান রাইটস লিগ্যাল এইড সোসাইটি কর্তৃক আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ ও বোধের কাগজ মসলিন কর্তৃক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু পুরষ্কার ২০০৯।
চন্দ্রবতী স্বর্ণপদক ২০০৮, দুবাই এক অনুষ্ঠিত বিজনেস অনুষ্ঠানে এশিয়ান লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০১৯।
জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত এই মহান হৃদয়ের মানুষটি ১৫আগস্ট ২০২০ তারিখে সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকার নিজ বাসায় স্ট্রোক করে পরলোক গমন করেন।