ছৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত
(ক) বছরের শেষ মাসও কোরবানি আর ১ম মাসও কোরবানি।
(খ) তিনিও ১০ তারিখে, ইনিও ১০ তারিখে।
(গ) তাঁর উপরেও দুরূদ, ইনার উপরেও দরূদ।
(ঘ) তিনিও নবীর দুলারা, ইনিও নবীজির পিয়ারা।
(ঙ) উনাকেও স্মরণ করা হয়, ইনাকেও স্মরণ করা হয়।
(চ) উনিও জবাহ-এ-আযম, ইনিও শহীদ-এ-আযম।
(ছ) উনার স্মরণ সুন্নাত, ইনার উপর চোখের জল ফেলা সুন্নাত।
(জ) উনি স্বপ্ন পূরণ করলেন, ইনিও ওয়াদা পূরণ করলেন।
(ঝ) উনি সবর এর ইবতেদা, ইনি সবর এর পরীক্ষা।
(ঞ) উনি ক্বাবা কে বানালেন, ইনি ক্বাবাকে বাঁচালেন।
হযরত ইসমাঈল (আ.) প্রাণ দিতে হয়নি, তাঁর পরিবার পরিজনদেরকেও আল্লাহর পথে বিসর্জন দিতে হয়নি, তথাপি হযরত ইসমাঈল (আ.) এর স্মরণে পৃথিবী আজও কম্পমান!
আর ছৈয়দ মওলা হোসাইন (আ.) ৬ মাসের শিশুসহ ৭২ জনকে কোরবানি দেওয়ার পরও আমাদের মত মুসলিম জাতির সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেননি!
আফসোস, কতটা দুর্ভাগ্য! কারবালায় নবী পরিবারের এই মহা ত্যাগের কথা মুষ্টিমেয় কিছু মুসলমান (প্রকৃত মওলা প্রেমী) ছাড়া কেও জানে না বললেই চলে!
বাবা হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত এই কোরবানি। সারা বিশ্বের মুসলমান এই কোরবানি পালন করছে একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য!
আর আমার নবী (দ.) ছৈয়দ মওলা ইমাম হোসাইন (আ.) এর জন্য তাঁর শাহাদাতের আগে ওনি কারবালায় শহিদ হবে এই কথা ভাবে কেঁদেছেন, সেই কান্না কি আমাদের জন্য আমার নবীর সুন্নত নয়?
কিন্ত ছৈয়দ মওলা হোসাইন (আ.) কে স্মরণ করে নবীজীর এই সুন্নত আমরা কয়জন আদায় করি?