আলোকিত ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রামে কালুরঘাট ব্রিজের সৎগতি (কাজের সুরাহা) না হলে সংসদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদল।
তিনি বলেছেন, আমি শুধু বকাউল্লা, আর গরীবুল্লা, মাঝে মাঝে ফ্যাঁ ফ্যাঁ করি। আর সুপারিশ মোতাবেক বাহ, বেশ, বেশ করি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
মঈন উদ্দীন খান বাদল নিজের শিক্ষকের একটা গল্প শুনিয়ে সংসদকে বলেন, আমার শিক্ষক আমাকে বলছেন, তোমার কালুরঘাট সেতুর কি হইল। আমি বলছি চেষ্টা করছি। কয় মিয়া তুমি আর কী চেষ্টা করবা। তোমার অবস্থা হইল তুমি হইলা বকা উল্লাহ, তুমি বইকা যাবা। শোনা উল্লারা শুইনা যাবে করিমুল্লারা কইরা যাবে, আর খানে উল্লারা খাইয়া যাবে। আর গরীবুল্লারা চর্তুদিকে ফ্যাঁ ফ্যাঁ কইরা তাকাবে রাজা রানীর কথা আসলে বেশ বেশ করবে। এখন তুমি কোনটা? বলছি স্যার প্রথমটা তো হইছি। বকা উল্লা বলতে পারবে। বকা ছাড়া কাজ নাই। গত ১০ বছরের দেখেছি বকা ছাড়া লাভ নাই। আরেকটা হয়েছি গরীবুল্লাও বটে। এদিকে সেদিক ফ্যাঁ ফ্যাঁ করি। মাঝে মাঝে সুপারিশ মোতাবেক বাহ বেশ বেশ করি।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পে চারবার ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এসএমবিসি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেছে তাইওয়ানের ‘ওইকন’ করেছে বাংলাদেশের এইচ কনসালটেন্ট করেছে। এটা শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কথা হয়েছে। এই প্রজেক্টের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১৬৩ কোটি টাকা। তারমধ্যে থেকে জিওবি ফান্ড থেকে ৩৭৯ কোটি টাকা, বাকি পুরা টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৪০ বছরের টার্নেল করা হবে। তার সুদ ০.০১ শতাংশ। এত কিছুর পরও হয় না। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস হচ্ছে, হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে। আমি বকা উল্লা কী বলব, আমাকে সেটার উত্তর দিতে হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট ব্রিজের সৎগতি না হলে এই সংসদ থেকে বের হয়ে যাব। এই রকম অপমান মেনে নেওয়া যায় না।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোয় সমালোচনা করে বলেন, এটা কি তামাশার দেশ পাইছেন। ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সেটা বেড়ে ১ লাখ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। কি কারণে? কেন, কী কারণে? যারা প্রজেক্ট বানায় তাদের ধরে এনে পিটানো উচিৎ!
স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে জিয়াউর রহমানের অবস্থান সম্পর্কে বলেন, আমি প্রথম ব্যক্তি ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালি মাঠ থেকে রিসিভ করেছিলাম। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ পুরো দিন বোয়ালখালি ছিলেন, সারাদিন বোয়ালখালী ছিলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ কর্ণফুলি অতিক্রম করেছে, তাহলে আমি সংসদ থেকে চলে যাব। এই সমস্ত জায়গা গুলোতে মিথ্যাচার করার দরকার নাই। তিনি গেছেন, তিনি পড়েছেন ২৭ তারিখ।
বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবীকালুরঘাট ব্রীজ নিয়ে সংসদে এমপি বাদলের আলোচনা
বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবীকালুরঘাট ব্রীজ নিয়ে সংসদে এমপি বাদলের আলোচনা
Gepostet von আলোকিত বোয়ালখালী অনলাইন সংস্করণ am Dienstag, 25. Juni 2019