অনলাইন ডেস্ক : টনটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় খুঁজতে এ ম্যাচে মাঠে নামছে পাকিস্তান। আর ভারতের বিপক্ষে হারের স্মৃতি ভুলে জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া অজিরা।

বিশ্বকাপের মঞ্চে সব থেকে সফল দল অস্ট্রেলিয়া আর সেই সাথে বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। আর ইমরান খানের হাত ধরে ১৯৯২ সালে প্রথম এবং শেষবারের মতো বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা স্পর্শ করে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডে আবারও শিরোপা পুনঃরুদ্ধারের লক্ষ্যে লড়াই করছে পাকিস্তান।

দু’দলের শেষ পাঁচ দেখার প্রত্যেকটি ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে ধবল ধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল পাকিস্তান। আর আইসিসি সর্বশেষ প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়েও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছে ৫ম স্থানে। অন্যদিকে ৯৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে পাকিস্তান।

তবে র‍্যাংকিংয়ের কোনো মূল্য থাকে না বিশ্বকাপের মহারণে। যেখানে ম্যাচ শুরুর আগে অনেকে এগিয়ে থাকলেও খেলার মাঠে যে নিজেদের সেরাটা দিতে পারে তারাই জয়ী হয়। আর মাঠের পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপে বেশ উজ্জ্বল দুই দলই। প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে জয়। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনাঙ্কাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি।

অন্যদিকে ফুরফুরে মেজাজে শুরু করা অস্ট্রেলিয়া শুরু করে আফগানদের হারিয়ে। এরপর উইন্ডিজকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয়। আর ভারতের বিপক্ষে হেরে জয়ের ধারা থামে অজিদের।

এ ম্যাচ দিয়ে তাই ঘুরে দাঁড়াতে চায় অজিরা। দলে তা আসতে পারে পরিবর্তনও। সেই সাথে ইনজুরির কারণে এ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন পেস অলরাউন্ডার মার্কোস স্টয়নিস।

ভেন্যু: কাউন্টি গ্রাউন্ড টনটন স্টেডিয়ামটি ১৮৮২ সালে নির্মিত হয়। প্রায় ৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অবিষেক ঘটে ১৯৮৩ সালে। ওডিআই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও টেস্ট ক্রিকেটে এখনো অভিষেকের অপেক্ষায় আছে কাউন্টি গ্রাউন্ড।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু টনটন শহরের এই স্টেডিয়ামের। তবে ১৯৯৯ সালের পরে আর কোন আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি এই মাঠে।
বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে প্রায় ২০ বছর আবারও কাউন্টি গ্রাউন্ডে ফিরছে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের করা ৩৭৩ রান এই মাঠে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

বিশ্বকাপে হেড টু হেড মোট ম্যাচ: ৯টি, অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৫টি। পাকিস্তান জয়ী: ৪টি। মুখোমুখি দুই দল মোট ম্যাচ: ১০৩টি। অস্ট্রেলিয়া জয়ী: ৬৭টি। পাকিস্তান জয়ী: ৩২টি। ড্র: ০টি ম্যাচ পরিত্যক্ত: ৩টি।

দৃষ্টি থাকবে যাদের ওপর অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক, পাকিস্তান: বাবর আজম, মোহাম্মদ আমির।

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড: অ্যারণ ফিঞ্চ (অধিনায়ক), জেসন বেহেনড্রফ, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), নাথান কোল্টার-নাইল, প্যাট কামিন্স, উসমান খাজা, নাথান লায়ন, শন মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কেন রিচার্ডসন, স্টিভ স্মিথ, মিশেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান স্কোয়াড: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), বাবর আজম, ফখর জামান, হারিস সোহেল, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, আসিফ আলী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here