পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দিতে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। সঙ্গে এসেছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ)।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার জানান, সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হুজুর কেবলা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এরপর তাকে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ শরিফে নিয়ে আসা হয়।
হুজুর কেবলাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুমানের এডিশনাল সেক্রেটারি শামসুদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় রোববার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস বের করা হবে।
জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে সকাল ৯টায় জুলুস বের হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে। কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেবেন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করবেন।
১৯৭৪ সাল থেকে ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে ও ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকায় জুলুস বের হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রথম জুলুসটি বের হয় বলুয়ার দীঘি খানকাহ শরিফ থেকে নূর মুহাম্মদ আল কাদেরির নেতৃত্বে। ঢাকায় প্রথম জুলুস হয় কায়েৎটুলি খানকাহ শরিফ থেকে।