আলোকিত বোয়ালথালী ডেস্ক
সারারাতের বৃষ্টিতে সড়কের ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানিতে ডুবে আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির প্রাঙ্গণ। এদিকে চসিক প্রধান কার্যালয়ের যাওয়ার রাস্তা টাইগারপাস সড়কে পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে বেশ খানিক্ষণ গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রামে সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা।
বৃষ্টিতে নগরের আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তি নগর, বগারবিল, মৌসুমী আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ নগরের নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে নগরের মেহেদীবাগ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেয়রের বাসভবনের আশপাশ ডুবে আছে। মেয়রের বাসার উঠোনও তলিয়ে গেছে পানিতে। উঠোনে রাখা একটি গাড়িও পানিতে ডুবে আছে মেয়রের বাসার প্রহরীরা উঁচু স্থানে বসে রয়েছেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি নগরের বহদ্দারহাটে। তিনি পরিবার নিয়ে বাড়ির দোতলা ভবনে থাকেন। এর আগেও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে গিয়েছিল মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা। আশপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা।
ঝড়ের কারণে বাকলিয়ার কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুপুর ২ টার দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে সড়কে পানি। বাসায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে।’
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম জানান, যে সব এলাকায় পানি জমে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে চসিকের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা টিম পাঠানো হচ্ছে। টাইগার পাসের সড়কে সৃষ্ট যানজট নিরসনে ধসে পড়া অংশ সরানোর কাজ চলছে।