চলতি মাসে সারাদেশে দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ও একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হবে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি পর থেকে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসবে। ১০ জানুয়ারির পর মাসের মাঝামাঝি একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাসের শেষদিকে আসবে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তখন তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে চলে আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়রি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শৈত্যপ্রবাহ ও সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সামছুউদ্দিন আহমেদ। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্রপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব বেশি থাকবে।

তিনি বলেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলতে রাতের তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং আট থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ১০ জানুয়ারির পর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও মাসের শেষ সপ্তাহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বয়ে যাবে। এসময় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের কিছু অংশ, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বাঘাইছড়িতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকবে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে দিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।

সামছুউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ডিসেম্বরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল চার দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত বছর ছিল দুই দশমিক চার। এবছর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা কত হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। সেটা কয়েকদিন পর বোঝা যাবে। তবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকবে, সেটি অনুমান করা যাচ্ছে। ঢাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি হতে পারে।

তাপমাত্রা কমার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত সূর্যের কিরণকাল ও বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও এধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here