নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এখন উপজেলা নির্বাচনের পালা। চলতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলার মতো চট্টগ্রামেও ১৪টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এখনো কিছু জানানো না হলেও জেলা নির্বাচন কার্যালয় স্থানীয় সরকার পরিষদের এই নির্বাচন মাথায় নিয়ে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪টির জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ চলতি বছরের বিভিন্ন সময় শেষ হতে যাচ্ছে। তাই এ বছরই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তার মেয়াদ এখনো রয়েছে।

২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মার্চে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারও প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের একাধিক উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলো প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা এলেই তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং কাজ শুরু করতে পারবে বলে জানা গেছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিকল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ-সংক্রান্ত এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আমাদের মাথায় আছে নির্বাচনের বিষয়টি। ভোটার তালিকা আছে। হয়তো এতে আরও কিছু সংযোজিত হবে।’

সংসদ নির্বাচনের সময় সাতকানিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ফলে তাঁদের পদগুলো এখন শূন্য রয়েছে। তাঁদের স্থলে ভাইস চেয়ারম্যানরা অস্থায়ী বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদগুলো একইভাবে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে। এই উপজেলা পরিষদগুলোর মেয়াদপূর্তির কাছাকাছি সময় রয়েছে। ফলে এগুলোতে উপনির্বাচনের বদলে নির্বাচনের পথে হাঁটছে কমিশন।

স্থানীয় সরকার আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী, মেয়াদপূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে হিসাবে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো এখন নির্বাচনযোগ্য সময় পার করছে।

জানতে চাইলে পটিয়ার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, পটিয়ার উপজেলা পরিষদ এখন নির্বাচনযোগ্য। তাই নতুন করে উপনির্বাচনের দরকার হবে না। নির্দেশনা এলে নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু হবে।

জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কিংবা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন-সংক্রান্ত নির্দেশনা আসতে পারে। তখন নির্বাচন ঘিরে কর্মকাণ্ড গতি পাবে।

উপজেলা পরিষদে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান—এ তিন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here