চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত সহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা। এসময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান নেতারা।
গতকাল চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহতদের দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫তলা থেকে নীচে নামার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় লিফটের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ ডা. শাহাদাত ছাড়াও দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ও ২ সাংবাদিক আটকা পড়েন। লিফট অপারেটিং করছিলেন সত্যপ্রিয় বড়ুয়া নামে চমেকের লিফটম্যান।
লিফটে বিএনপি নেতাদের সাথে আটকা পড়া এনটিভি চট্টগ্রামের প্রতিনিধি আরিচ আহমদ শাহ বলেন, ৫ তলা থেকে নামার সময় নীচে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত এসে লিফট তার ছিঁড়ে বিকট শব্দে নীচে পড়ে যায়। এতে আমরা সবাই আতংকিত হয়ে পড়ি। ২৬ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লিফটটিতে এসময় আমরা ছিলাম মাত্র ১২ থেকে ১৩ জন। পরে বাইরের লোকজন এবং লিফটম্যান মিলে পেশী শক্তি ব্যবহার করে লিফটের দরজা খুলে আমাদের উদ্ধার করে।
এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেলসহ আরো কয়েকজন ছিলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, আজ সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চমেক হাসপাতালের ৫ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে পড়ে। তবে আমরা কেউ আহত না হলেও বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।
লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, এই লিফট রাতদিন ২৪ ঘণ্টা চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রচুর পরিমাণে বাজেট থাকার পরও এসব লিফট মেরামত করার উদ্যোগ নেয় না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষানাবেক্ষণ না থাকায় চমেকের এসব লিফট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আজকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো পারতো।
উল্লেখ্য গতকাল রোববার সকালে মহানগরীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বাড়ির গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ দুপুরে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে চমেক হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নিজের একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ অন্য নেতাকর্মীদের নিচে রেখে কয়েকজনকে নিয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে যান তিনি। সেখান থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফোন করে মো. সেলিমকে জানালে সবাই মিলে দরজা টেনে তাঁদের বের করেন।
পরে পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আক্তারুল আলমকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।