চবি প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ থেকে নৈসর্গিক পথ ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন ভিসিদের ম্যুরাল নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ৩১ তম সিনেট সভায় এই পরামর্শ দেন তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পদাধিকার বলে আমি চট্টগ্রাম বিভাগের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরও সিনেট মেম্বার। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যাওয়া হয়। আমার দেখায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার। তাই আমি বলবো, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে উপাচার্য দপ্তর পর্যন্ত রাস্তার পাশে ওয়াল নির্মাণ করে সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন উপাচার্যদের ছবি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু সন্নিবেশ হতে পারে।
এই কাজটি করার জন্য যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন হবে না, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট থেকেই করা সম্ভব। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে- যোগ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে লেক তৈরির প্রস্তাব দেন। বিষয়টিকে সমর্থন করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। স্যার (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ) অনেক প্রাজ্ঞজন এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তান আমল থেকে সংসদ সদস্য হয়ে আসছেন। একাধিকবার মন্ত্রী হয়েছেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য লাভ করেছেন। স্যার বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করতে পারেন। সংসদে উত্থাপন হলে এটি বাস্তবায়ন সহজ ও তরান্বিত হবে।
বিভাগীয় কমিশনার উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ উপাচার্য ড. শিরীণ আক্তারের বক্তব্যের কিছু দিক তুলে ধরে বলেন, আপনার (উপ উপাচার্য) বক্তব্যে কিছু বিষয় এসেছে যেমন-ক্যান্টিন উদ্বোধন, বিশিষ্টজনদের সাথে গেটটুগেদার, শুভেচ্ছা-বিনিময় ইত্যাদি, যা আমার মতে সিনেটে উপস্থাপনের না করলেই হয়। তাছাড়া হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানোর কিছুই নেই। হাটহাজারী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সার্বক্ষণিক নিয়োজিত।
এছাড়া উপ উপাচার্যের বক্তৃতায় একাডেমিক বিষয়, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অর্জন, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম ইত্যকার বিষয় উঠে আসতে পারতো বলে মনে করেন বিভাগীয় কমিশনার।
বিভাগীয় কমিশনারের বক্তব্যের পর ফের ফ্লোর নেন ড. শিরীণ আক্তার। তিনি বলেন, আমি স্বীকার করছি সময়ের অভাবে অনেক কিছু যুক্ত করতে পারিনি। এসময় তিনি রাস্তার পাশে ওয়াল নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ও চিন্তা করার কথা জানান।