করোনার অন্যতম হটস্পট চট্টগ্রামে আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার হার বাড়ছে। আড়াই মাসের তুলনায় গত এক সপ্তাহে সুস্থতার হার প্রায় দ্বিগুণ।
তবে সদ্য কারোনামুক্ত হওয়া রোগীরা বলছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার টেস্ট ছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ ঘোষণা করলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি মাসের ১১ জুন পর্যন্ত গত আড়াই মাসে সুস্থ হয়েছেন ২৯৪ জন। কিন্তু পরে এক সপ্তাহে সুস্থ হয়েছে ২৭৬ জন।
সর্বশেষ ১৮ জুন সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন, ১৭ জুন ৫২ জন, ১৬ জুন ২৯ জন, ১৫ জুন ৫৬ জন, ১৪ জুন ৩১ জন, ১৩ জুন ৪০ জন, ১২ জুন ২০ জন, ১১ জুন ১২ জন।
সদ্য করোনামুক্ত হওয়া সাংবাদিক মো. আকমল হোসেন বলেন, অনেকে দুই, তিনবার করোনা পরীক্ষা করার পরও পজেটিভ আসছে। কিন্তু এখন একবার করোনা পজেটিভ আসার পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এখন সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকট হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ জুন থেকে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার করোনা পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সংক্রান্ত একটি নোটিশও ঝোলানো হয় চট্টগ্রামের নমুনা সংগ্রহের স্থানগুলোতে। এর আগে করোনা পজেটিভ আসার পর দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রাখা হলেও তৃতীয় নমুনা পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সব শর্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার নমুনা পরীক্ষা করা হয় না। একজন রোগীর যদি কম উপসর্গ থাকে, তাহলে তাকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পরে কোনো সমস্যা না হলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আবার যাদের বেশি উপসর্গ রয়েছে তাদের তিন দিনের মধ্যে কোনো সমস্যা না হলে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে। তবে ১৪ দিনের জন্য অবশ্যই হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।
চট্টগ্রামে নমুনাজট কমাতে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পজেটিভ হওয়ার পর চিকিৎসা নিলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ না থাকলে তিনি সুস্থ বলে বিবেচনা করা হবে। তবে করোনা আক্রান্ত যাদের সুস্থ হওয়ার পর চাকরিতে যোগদান করতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার টেস্টের রিপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ সময় সুস্থতার হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে হাসপাতালে রোগী সুস্থ হলে তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীদের সংখ্যাও যোগ করা হচ্ছে। তাই সুস্থতার হার বাড়ছে। খবর বাংলানিউজের