মোহাম্মদ হায়দার আলী:

বিশ্বনবী,মানবতার নবী,রহমতের নবী সরকারে দো ‘আলম হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দূনিয়ায় আগমন করেন ২৯ আগস্ট ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে।এই দিনে নবীজি(দঃ)এর আগমনে দূনিয়া হতে বিদায় নিয়েছে,সকল অন্ধকার,মানুষ পেয়েছে আলোর পথ।যুলম,হত্যা,নেশা,সকল প্রকার কু প্রথার চিরতরে বিদায় নিয়েছে মহানুভবতার নবীর(দঃ) আগমনে।আসমান যমিনের সকল ফেরেস্তারা সহ কুল মাখলুকাত খুশিতে আত্মহারা হয়ে ঈদ উদযাপন করেছে নবীজি(দঃ)কে পেয়ে।

আজও ২৯ আগস্ট আসলেই ৫৭০ খ্রীস্টাব্দ (সৌর বার্ষিকী)স্মরণে দেশ বিদেশ সহ সর্ব জায়গায় জুলুছ সহকারে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করে থাকেন উম্মতগন। আবার অনেকেই ১২ রবিউল আওয়াল বা ৯ রবিউল সহ রবিউল আওয়াল মাসে(চন্দ্র বার্ষিকী) হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ)পালন করে থাকেন।

আগামী ২৯ আগস্ট ২০১৯ ইং(সৌর বার্ষিকী) মহানবী(দঃ)এর ভবে আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রামে ‘মহান নবী দিবস’ এর  উদ্যোগতা, মহাত্মা সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা  বোয়ালখালীর চট্টগ্রাম দরবারের বর্তমান সাজ্জাদানশীন সিররুর রহমান মাখযানুল কোরআন হযরত আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃ) এর উপস্থিতিতে মাইজভান্ডারি সামা সংগীত সহ জুলুস সহকারে ‘মহান নবী দিবস’ চট্টগ্রাম দরবার শরীফ হতে প্রতিবারের মত এইবারও পালন করবেন  বলে জানিয়েছেন দরবারটির নবী দিবস উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাদা ছৈয়দ ডাঃ মোহাম্মদ আরেফ হোসাইন (মাঃ)।

এই জুলুসে  চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন দরবার সহ দেশের অন্যান্য দরবার ও অংশ গ্রহন করেন বলে তথ্য দিয়েছেন নবী দিবস উদযাপন পরিষদের মহাসচিব শাহজাদা সাইফুল আলম নাইডু। এই জুলুস সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় দল মত নির্বিশেষে সকলেই উদযাপন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নবীজি(দঃ) শুধু মুসলমানদের নবী নন, তিনি সকল জাতির জন্য রহমত। তিনি সকল জাতির নবী। দূনিয়ার সকল জাতিই নবীজী (দঃ) এর আগমনে উপকৃত হয়েছে তাই সকলের খুশি হওয়া উচিত এবং ঈদ উদযাপন করা উচিত। তাই যারা নবীজি (দঃ) কে মনে প্রাণে ভালবাসেন তারা ২৯ আগস্ট ২০১৯ মহান নবী দিবসে অংশ গ্রহণ করার জন্য আহবান করেন চট্টগ্রাম দরবারের শাহজাদা নবী দিবস উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক সৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত। তিনি বলেন এসো আশেক দলে দলে দয়াল নবীর পতাকা তলে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here