চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫৩তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সভাপতি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন জানান, ৪১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিকে আলাদা এবং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা আড়াই বছর।
নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সভায় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের গুরুত্বের কথা তুলে করে মেয়র নাছির বলেন, “চট্টগ্রাম শহরকে স্মার্ট সিটি করতে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম জরুরি।
এর মাধ্যমে একটি শহরের সকল তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদান নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”
২০২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ মুজিববর্ষকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও বছরব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে।
এই কর্মসূচির মধ্যে মশকমুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুর নামকরণে জিমনেশিয়াম চত্বরে বঙ্গবন্ধু বই মেলার আয়োজন, প্রতিটি ওয়ার্ডকে চারভাগে ভাগ করে রাস্তা, ফুটপাত, গলি-উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার স্থান ধ্বংস করণে কেমিকেল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে দুইবার বিশেষ পরিষ্কারকরণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিষ্কার করা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কাজ রয়েছে।