আলোকিত ডেস্ক: কয়েকমাস আগেই থেমে গেছে যন্ত্রের শব্দ, এখন নেই কর্মীদের তৎপরতা। সড়কটির অর্ধেকজুড়ে মাটিতে ভর্তি। কোথাও কোথাও পিচের আস্তরণ বলতে কিছু নেই। হঠাৎ দেখলে কখনও মনে হবে না, রাস্তাটি পিচের ছিলো।

নগরের প্রাণ কেন্দ্র নন্দন কানন রোড, ডিসিহিল হয়ে নিউমাকের্ট সড়কটির থেকে গেছে নির্মাণের ক্ষত। আর সেই ক্ষত বাড়িয়ে তুলেছে ওই এলাকার মানুষজনকে।

স্থানীয়দের দাবি, কয়েকমাস আগেও রাস্তাটি পিচেরই ছিলো। তার পরে আর কখনও পিচ-তো দূর থাক, ওই রাস্তায় স্টোন চিপসও দেখা যায় না। এখন রাস্তার মধ্যেখান দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার মাটিতে ভর্তি। তাও আবার এবড়ো-খেবড়ো অবস্থায়।

সড়কের ওপর মাটির স্তুপ করে রেখেছে ওয়াসা।

তাদের অভিযোগ, রাস্তাটি খুঁড়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইপ লাইন বসানোর পরে সেটির উপরে মাটি চাপা দিয়েই দায় সেরেছে। তার জেরে কয়েকমাস ওই বেহাল রাস্তা থেকে গেছে। জামাল খান, নন্দনকানন হয়ে নিউমার্কেট যেতে এখন ১৫ মিনিটের পথ লাগছে এক ঘণ্টা। এরপরও বেহাল রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকজনকে। অনেকে আবার রাস্তার খারাপ অবস্থা ও যানজট এড়াতে হেটেঁই গন্তব্য যেতে দেখা গেছে।

নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা পুস্পিতা রানি সরকার বলেন, ওয়াসার খোঁড়াখুড়িতে জীবন অতিষ্ঠ। সকালের দিকে যানজট কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। নন্দনকানন হয়ে নিউমার্কেট যেতে আগে ১০ মিনিট সময় লাগতো। এখন গাড়িতে যেতে সময় লাগছে ৩০ মিনিটের চেয়েও বেশি।

মুখে রুমাল চেপে হেঁটে যাওয়ার সময় বিড়বিড় করে কি যেন বলছিলেন জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ইয়াছিন আরাফাত। জানতে চাইলে তার উত্তর- ‘আর কি বলবো? ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দিকে ক্ষোভ ঝারছিলাম। চট্টগ্রাম শহরের এমন কোনো জায়গা নেই যে, ওয়াসা খুঁড়েনি। সর্বশেষ নন্দনকানন, ডিসিহিল হয়ে নিউমার্কেটের রাস্তাটি ভালো ছিলো। কিন্তু এটিও কয়েক মাস আগে খুঁড়েছে। তারা পুরো শহরটাই কবর খুঁড়ে রেখেছে।

সড়ক যেন নয়্, ধু ধু মাঠ

নন্দনকানন রোডের নিউ আল মদিনা গ্লাস হাউসের দোকানদার ওমর ফারুক বলেন, দোকানে বসা যায় না। ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে পুরো দোকানে। এ থেকে কবে মুক্তি হবো?

কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেইজ-২) উপ-পরিচালক মাকছুদ আলম বলেন, এটি উন্নয়নের প্রসব বেদনা। পানিসংকট দূর করতে ওয়াসা এসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্প কাজ শেষ হলে নগরে কোনো পানি সংকট থাকবে না। তবে কাজের কারণে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে নগরবাসীর এসব উন্নয়ন ভোগ করতে পারবে।

সুত্র:বাংলানিউজ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here