আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সকল পেশার মানুষের একই সুরে কথা বলতে হবে। আমাদের কথায় ও কাজে যদি কোনো গ্যাপ থাকে তাহলে চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সন্তান ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রামকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ কারণে টানেলসহ মেগা প্রজেক্ট উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্বাস করি। কিন্তু চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু অন্যরকম। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। চট্টগ্রামে দেশের বৃহত্তম বন্দর রয়েছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য, সমৃদ্ধির জন্য রাজনীতিক, সাংবাদিক সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, একই সুরে কথা বলতে হবে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে সবসময় গুরুত্ব দেন। একইভাবে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আটজন নেতাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে স্থান দিয়েছেন। সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। ৪৩ টি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন দিয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ তথ্যমন্ত্রী পেয়েছে।
তিনি বলেন, দলের পদ পাওয়া মানেই নেতা হওয়া নয়। পদটাকে অর্থবহ করার জন্য মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা দরকার। আমি মানুষের ভালোবাসা অর্জনের জন্য কাজ করে যাবো।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের কাজের ইভালুয়েট করে। নির্বাচনী ইশতেহার দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস।
এসময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যুরো প্রধান ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।