আগামী ১৯ মে দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে।

রোববার (১৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যালোচনা অনুযায়ী যদি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাসমূহে আঘাত হানতে পারে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে যেন মানুষজনকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়, সে লক্ষ্যে এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গোখাদ্যের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসনদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকদের সাথে অনলাইনে সভা করেন।

এদিকে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘আম্ফান’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে ঝড়ো হাওয়া আকারে এটি সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এটি কার্যত এখনও একই এলাকায় রয়েছে।

রোববার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here