নানা কারণে মানুষ অবসাদগ্রস্ত হতে পারে। একঘেয়ে জীবন, মানিয়ে নিতে না পারা কিংবা হতাশার সঙ্গে লড়াই করতে করতে জীবনে কখনও না কখনও বিষন্নতা আসে প্রায় সকলেরই৷ বিষন্নতা দীর্ঘস্থায়ী হলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। এটি কাটাতে কিছু অভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. রাতে অবশ্যই ৮ ঘণ্টা ঘুমান৷ পারলে রোজ একই সময়ে ঘুমাতে যান৷ ঘুম কম হলে মনে বিষন্নতা বাসা বাঁধে।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।ভারী ব্যায়াম করতে ইচ্ছা না হলে কিছুক্ষণ স্কিপিং করুন বা হাঁটুন৷ এটি বিষন্নতা কাটাতে সাহায্য করবে।
৩. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে মস্তিষ্কে সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌঁছায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে অবসাদ তৈরি হয়৷
৪. জীবনে রুটিন মেনে চলুন৷ সময় মেনে চললে জীবনে একটা শৃঙ্খলা থাকে৷ এতে বিষন্নতায় ভোগার অবকাশ কম থাকে৷
৫. অনেক সময় মনের মধ্যে রাগ, দুঃখ, অভিমান জমতে থাকে যা আমরা কাউকে বলতে পারি না৷ জমতে জমতে এক সময় বিষন্নতা চেপে ধরে আমাদের৷ লেখার অভ্যাস করুন৷ নিয়মিত ডায়রিতে না বলা অনুভূতি লিখে রাখুন৷
৬. আপনার ভাল লাগে এমন কোনও শখের কাজ বেছে নিন। ছবি আঁকা, রান্না করা ,গান শোনা , বাগান করা-যেটা করতে ভাল লাগে তার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন৷ এতে মস্তিষ্কে সিরোটোনিনের ক্ষরণ বাড়বে৷ তখন মন ভাল থাকবে, অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারবেন সহজে৷
৭. প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে কাটান৷ একা বসে ধ্যান করুন বা ডিপ ব্রিদিং করুন৷ এতে মনসংযোগ বাড়বে, মন শান্ত হবে, অবসাদ কাটবে৷
৮. একাকিত্ব থেকে বিষন্নতা বাড়ে৷ সব কিছু নিজের মধ্যে চেপে না রেখে কারও সঙ্গে শেয়ার করুন৷ লোকজনের সঙ্গে মিশলে. বন্ধুত্ব করলে বিষন্নতা কাছে ঘেঁষতে পারবে না৷ সূত্র : নিউজ এইট্টিন