গ্রাম পুলিশের মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেতন স্কেল অনুসারে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। আদালত বলেছেন, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শুরু আগেই নির্দেশ অনুসারে বেতন-ভাতা পরিশোধ করে আদালতে হলফনামা দিতে হবে। স্থানীয় সরকার সচিবের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রাম পুলিশের মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বেতন স্কেল অনুসারে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে তাঁদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। আদালত বলেছেন, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শুরু আগেই নির্দেশ অনুসারে বেতন-ভাতা পরিশোধ করে আদালতে হলফনামা দিতে হবে। স্থানীয় সরকার সচিবের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, অবসর ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে নিজ নিজ গ্রাম পুলিশ সদস্যের যোগদানের তারিখ থেকে এই ভাতা গণনা শুরু করতে হবে।
২০০৮ সালে গ্রাম পুলিশের সদস্যদের জাতীয় বেতন স্কেলের চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালে লাল মিয়াসহ ৩৫৫ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য হাইকোর্টে একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। এতে ২০০৮ সালের সিদ্ধান্ত অনুসারে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত রোববার রায় দেওয়া শুরু করেন আদালত। অসমাপ্ত রায় ঘোষণা আজ শেষ হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
রায়ের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, ৩৫৫ জন রিট করলেও সারা দেশে ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ সদস্য রয়েছেন। রিট আবেদনকারীসহ সবাই এসব সুবিধা পাবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন দফাদারেরা ৭ হাজার ও মহল্লাদাররা সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতন ভাতা পান। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে, এ কথা বলেছেন আদালত। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে দফাদার ও ৯ জন করে মহল্লাদার নিযুক্ত থাকেন বলে জানান তিনি।