দেশের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের মাঝেই চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ আরও ছড়িয়ে পড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে বৃহস্পতিবারের (২৬ ডিসেম্বরের) চেয়ে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কমেছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন যেটা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছিল।
এদিকে ঢাকায় আবারও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য সবচেয়ে কমে এসেছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। ফলে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে।
শুক্রবারও দেখা নেই সূর্যের। তার ওপর বাতাস বইছে উত্তর, পশ্চিম-উত্তর দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে। ফলে মোটা কাপড় ছাড়া দিনেও বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না।
গ্রামে রাতের বেলা শীত মানছে না লেপ মুড়িয়েও। ঠাণ্ডা বাতাসে দরজা, জানালার ফাঁক গলে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে ফেলেছে দেশবাসীকে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এক্ষেত্রে আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ১৪ মিলিমিটার।