গরুর চাপ, নানরুটি ও রায়তা
লাইফস্টাইল ডেস্ক: যদি পছন্দ করেন খেতে তবে তৈরি করুন প্যারিস প্রবাসী রন্ধনশিল্পী ডা. ফারহানা ইফতেখারের রেসিপিতে।
গরুর চাপ
উপকরণ:
গরুর চাপের আকারে মাংসের টুকরা ৫টি। আদা-রসুন ঘিয়ে ভেজে বাটা ২ চা-চামচ। কাবাব মসলা ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ। টক দই আধা কাপ। পেঁয়াজ বেরেস্তা (গুঁড়া করে নেওয়া) ২ টেবিল-চামচ। ভিনিগার ২ চা-চামচ। ঘি ৩ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। চিনি আধা চা-চামচ। সরিষার তেল পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি:
প্রথমে মাংস ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। টুকরা করা মাংসগুলো, মাংস ছেঁচার হাতুড়ি দিয়ে ভাল করে ছেঁচে নিন। বাসায় মাংস ছেঁচার হাতুড়ি না থাকলে শিল পাটাতেও ছেঁচে নিতে পারেন।
এবার উপকরণগুলো সব মিশিয়ে চাপের মাংসের সঙ্গে খুব ভাল করে মেখে তিন-চার ঘণ্টা রেখে দিন।
একটি নন-স্টিক প্যান গরম করে তাতে অল্প করে সরিষার তেল দিন। গরম হলে এতে মসলা মাখা গরুর মাংসের টুকরাগুলো দিয়ে হালকা আঁচে ভাজতে থাকুন।
মাঝে মাঝে আস্তে করে উল্টে দেবেন আর খেয়াল রাখবেন যাতে পুড়ে না যায়।
মাংস সিদ্ধ হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে পছন্দ মতো সালাদ বা রায়তা দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সুস্বাদু গরুর চাপের কাবাব।
পাতলা নান রুটি
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ। লবণ ১ চা-চামচ। ইস্ট ২ চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। দুধ ও পানি পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি: ইস্ট, লবণ ও চিনি সামান্য গরম দুধ ও কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবারে সব উপকরণ ময়দার সঙ্গে মাখান। বেশ কিছুক্ষণ মাখানোর পর প্রয়োজনে অনুযায়ী আরও পানি ও দুধ দিয়ে ভাল করে ময়ান দিতে হবে।
এরপর একটি বাটিতে মাখানো ময়দা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ঢেকে রাখুন গরম স্থানে (চুলার পাশে)। ময়দা ফুলে দ্বিগুন হবে।
এবার ময়দার ডো থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে পাতলা করে রুটি বেলে নিন। চুলায় তাওয়া গরম করে কম আঁচে রুটি সেঁকতে হবে।
রুটি ফুলে উঠবে এবং তুলতুলে নরম হবে। গরম গরম পরিবেশন করুন।
শসার রায়তা
উপকরণ: শসা কুচি ১ কাপ। টক দই ৩ থেকে ৪ টেবিল-চামচ। কাঁচা মরিচ-কুচি ১টি। পুদিনা-পাতা কুচি অল্প। পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ চা-চামচ। শুকনা-মরিচের গুঁড়া সামান্য। ভাজা জিরা গুঁড়া সামান্য। লবণ স্বাদ অনুযায়ী। বিট লবণ আধা চা-চামচ।
পদ্ধতি: শসা চিকন কুচি করে কেটে একটি বাটিতে রেখে দিন। পুদিনা-পাতা ও পেঁয়াজ মিহি কুচি করে রাখুন।
এরপর একটি বড় বাটিতে দই নিয়ে এর পানি ছেঁকে ভাল করে ফেটে নিন। এর মধ্যে মরিচের গুঁড়া, ভাজা জিরা-গুঁড়া, বিট লবণ ও লবণ দিয়ে ভাল করে মেশান।
মনে রাখবেন, দইয়ে পানি থাকা যাবে না। পানি থাকলে রায়তা ভাল হবে না।
এখন শসা-কুচি থেকে যে পানি বের হয়েছে তা হালকা চিপে ঝরিয়ে ফেলে দিন।
শসা কেটে রাখলে পানি বের হয়। আর এই পানি চিপে ফেলে না দিলে রায়তাকে নষ্ট করে ফেলবে। রায়তা বানানোর পর দই আর পানি আলাদা হয়ে যাবে!
এবার ফেটানো দইয়ের মধ্যে শসা, পুদিনা-কুচি, কাঁচা-মরিচ-কুচি ও পেঁয়াজ-কুচি দিয়ে ভাল ভাবে মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে শসার রায়তা।
* রায়তা বানিয়ে বেশিক্ষণ রাখলে এর রং ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই আগে শুধু প্রস্তুতি নিয়ে রেখে পরিবেশনের আগে রায়তা মেশাবেন।
সুত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম