নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনুদ্দিন খান বাদল গণমানুষের হৃদয়ের কথা, দাবি জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতেন সাবলীলভাবে। সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেওয়া এ অসাধারণ মানুষটি রাগ ক্ষোভ-লোভ লালসার উর্ধ্বে ছিলেন। তবে অভিমানী ছিলেন। শোষিত সমাজের অধিকার আদায়ে তাঁর কণ্ঠে বর্ষিত হতো অগ্নিবাণ। তাঁর মতো মানুষের বড্ড প্রয়োজন এ সমাজের।
প্রয়াত সাংসদ বাদলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শনিবার (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার সাংসদ বাদলের মৃত্যুবার্ষিকীতে গ্রামের বাড়ী বোয়ালখালীর সারোয়াতলীতে খতমে কোরান, দোয়া মাহফিল ও জাসদ উপজেলা শাখার উদ্যােগে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা জাসদ সভাপতি মনির উদ্দীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি’র ছিলেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট আবু মো. হাসেম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাসদ উত্তর জেলা সভাপতি ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, দক্ষিণ জেলা সভাপতি স্বপন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আহমদ হোসেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক সিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, মোহাম্মদ মোকারম, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শোয়াইব রেজা, মাওলানা আবদুর রহিম, সাংবাদিক অধীর বড়ুয়া, জাসদ নেতা সরোয়ার আনছারী, তকছির উদ্দীন।
এতে প্রয়াত সাংসদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
গত ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৭টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মঈন উদ্দিন খান বাদলের জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২। পিতা আহমদুল্লাহ খান ও মাতা যতুমা খাতুন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে জড়িয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ষাটের দশকে আওয়ামী ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন দেশমাতৃকার জন্য। ১৯৮৫ সালের দিকে বিয়ে করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল। একজন দক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ান হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসন থেকে মহাজোটের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।