বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার। শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বালানো হয়েছে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বালানো হয়েছে। কারারক্ষীরা প্রহরায় আছেন। ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আলো জ্বালানো থাকবে। ফাঁসি কার্যকর হয়ে যাওয়ার পর আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে আলো নেভানো হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা এখন সময়ের ব্যাপার।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিগত দুই দশক পালিয়ে ভারত গিয়েছিলেন আবদুল মাজেদ। গত মার্চের মাঝামাঝি সময় তিনি ঢাকায় আসেন। পরে সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন। পলাতক আসামিরারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক পালিয়ে আছেন।
ইতোমধ্যে ফাঁসির মঞ্চে জল্লাদদের মহড়াও সম্পন্ন হয়েছে।ওই মহড়ার নেতৃত্বে ছিলেন জল্লাদ শাজাহান। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েক জল্লাদ।