কুরবানির অসংখ্য ফজিলতের কথা হাদীস শরীফে বণির্ত হয়েছে। হুজুর (সা:) বলেছেন কুরবানির পশুর প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী পাবে।
(ইবনে মাজাহ) হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, কুরবানির দিনে কুরবানির চেয়ে আল্লাহ তা‘আলার কাছে অধিক প্রিয় কোন আমল নেই। যেহেতু কুরবানির পশুকে কিয়ামতের দিনে শিং, পশম, খুর ইত্যাদি সহ কিয়ামতের মাঠে হাজির করা হবে এবং নেকীর পাল্লায় ওজন করা হবে।

কুরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তা‘আলার দরবারে কবুল হয়ে যায়। (তিরমিজী)
সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ এবং রাসুলে করিম সা. এর নিয়মিত আমল। নবী করিম সা. মদিনায় দশ বছর অবস্থান কালে প্রতি বছর কুরবানি করেছেন এবং সাহাবীদেরকে কুরবানি করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- “রাসুলে কারিম সা. মদিনায় দশ বৎসর জীবন যাপন করেছেন সেখানে প্রত্যেক বৎসরই তিনি কুরবানি করেছেন”। [তিরমিযি]

২. হযরত জায়িদ ইবনে আরকাম রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন-“রাসুলুল্লাহর সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসুল! এই কুরবানিটা কী? রাসুলুল্লাহ সা. জবাব দিলেন, এটা তোমাদের পিতা হযরত ইবরাহিম আ. এর সুন্নাত বা আদর্শ। অতঃপর তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, এতে আমাদের জন্য কি ফায়দা বা সাওয়াব রয়েছে হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন কুরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকী রয়েছে। সাহাবীগণ আবার জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসুল! ভেড়া, দুম্বার পশমের ব্যপারে কি কথা? তিনি বললেন, এর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকী পাওয়া যাবে”। [ইবনে মাজাহ, মিশকাত শরিফ]

৩. হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন- ‘মানুষের আমল সমূহ হতে কোন আমলই আল্লাহর নিকট কুরবানির দিন কুরবানি হতে অধিক পছন্দনীয় নয়, অবশ্যই কিয়ামতের দিন কুরবানির জানোয়ার শিং, লোম ও খুর নিয়ে উপস্থিত হবে। যে কুরবানি শুধু আল্লাহর জন্য করা হয়, নিশ্চয়ই সেই কুরবানির রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার পূর্বেই আল্লাহর দরবারে উহা কবুল হয়ে যায়। অতএব, তোমরা ভক্তি ও আন্তরিক আগ্রহ নিয়ে কুরবানি কর”। [তিরমিযি]

৪. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, নবী করিম সা. হযরত ফাতেমা রা. কে বললেন, ফাতেমা! এসো তোমার কুরবানির পশুর কাছে দাঁড়িয়ে থাক। এ জন্য যে, তার যে রক্তটা মাটিতে পড়বে তার বদলায় আল্লাহ তোমার পূর্বের গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন। হযরত ফাতেমা রা. বলেন, এ সুসংবাদ কি আহলে বায়আতের জন্য নির্দিষ্ট, না সকল উম্মতের জন্যে? নবী করিম সা. বললেন, আমাদের আহলে বায়আতের জন্যেও এবং সকল উম্মতের জন্যেও। [জামেউল ফাওয়ায়েদ, আসান ফিকাহ]

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here