দীর্ঘদিনেও কালুরঘাট সেতু না হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকেই দোষারোপ করলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ।

একইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ না হলে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল পদত্যাগ করবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান এরশাদ উল্লাহ।

কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবিতে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এরশাদ উল্লাহ। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ উল্লাহ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কালুরঘাট সেতু নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ২৭৫ কোটি টাকায় একটি প্রকল্প নিয়েছিলেন। মেয়াদ চলে যাওয়ায় ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি। এরপর ১/১১ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ১১ বছর পার করেছে। দীর্ঘ এই সময়ে তারা কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করতে পারেনি কেন?

লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল কালুরঘাট সেতু প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্য তুলে ধরে এরশাদ উল্লাহ বলেন, গত ৯ আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে এই সেতুর ব্যাপারে আক্ষেপ করে মঈনুদ্দিন খান বাদল ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা না হলে মহান সংসদকে সালাম জানাবেন বলেছিলেন। উনি যেহেতু মহাজোট কর্তৃক উক্ত এলাকার সংসদ সদস্য এবং উনার গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায় তাই রাগ, অভিমান বা আক্ষেপ করা মোটেই সমীচিন নয়। কারণ, উনি ওনার নির্বাচনী ইশতেহারে কালুরঘাট সেতু নির্মাণে জনগণের কাছে ওয়াদা করেছেন। তাই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আক্ষেপ করে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা জনগণের সাথে প্রতারণার বহি:প্রকাশ। তাই দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ওনাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন ও উচিত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটে সড়ক কাম রেল বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। যেহেতু চট্টগ্রাম শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে নতুন করে কোন ভারী শিল্প কল-কারখানা করা সম্ভব নয়। তাই বোয়ালখালী উপজেলা নতুন করে শিল্প কল-কারখানা গড়ে তুলা একটি উপযোগী স্থান। বর্তমানে বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী ও শাকপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে বহু শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই বর্তমান শিল্প কারখানার কাঁচামাল সরবরাহ আনা নেওয়ার জন্য এই কালুরঘাট সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য আজিজুল হক, মহানগর বিএনপি নেতা এমএ হাশেম রাজু, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য শওকত উল আলম, চান্দগাঁও থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন খান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, এম ফিরোজ খান, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ সরওয়ার আলমগীর, ইকবাল পাশা, হাসান মুরাদ মামুন, মুসলিম মিয়া, মনজুর হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আজগর, জাফর আহম্মেদ, শফিকুল ইসলাম শাহিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, হাজী মোস্তফা কামাল উদ্দিন, হাজী আবুল বশর, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মোহাম্মদ আলমগীর, ফোরকান উদ্দিন জাবেদ, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মোহাম্মদ ওসমান গণি, তারেক রহমান, আরিফুল ইসলাম, আবু সৈয়দ রাসেল, নিয়াজ মোর্শেদ খান, জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ হোসেন টিপু, মোহাম্মদ শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ ফজল কবির, নূহ গাজী সেলিম।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here