সোহেল মো. ফখরুদ-দীন :

সমাজ, জাতি, ধর্ম. বর্ণ ও গোত্রের স্বগৌরবকে তুচ্ছ করে মানবতার সিঁড়ি বেয়ে যারা আলোকিত করেছে তাঁরাই মহান ও মহৎ মনীষী। ব্যক্তি চিন্তা তাঁদের মনের কোটা থেকে দূরে সরিয়ে যারা দেশ ও দেশপ্রেমিক হয়ে দেশ বাঁচিয়েছেন তাঁদের ইতিহাসের স্মরণ ও বরণীয়। আমাদের জাতিসত্ত্বা বিনির্মাণের সুফল কয়েকজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কালজয়ী মৃত্যুঞ্জয়ী যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত অন্যতম। চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান হয়ে সমগ্র ভারতবর্ষে যারা রাজনীতি কিংবা সমাজনীতিতে শীর্ষে অবস্থানে ছিলেন- যাত্রা মোহনের নাম সেই তালিকায় অতি সম্মানের সাথে শীর্ষে। যা বাস্তবতার ইতিহাসে আমাদের গৌরবান্বিত করেন। তাঁরই মতো মহৎ প্রাণ লোকই আমাদের এলাকা বা চট্টগ্রামের সন্তান। যাত্রা মোহন চন্দনাইশ থানার বরমা (সাবেক পটিয়া) মহুকুমা গ্রামে ১৮৫০ সালের ৩০ জুলাই সেই সেন বংশে জন্মগ্রহণ করেন। যাত্রা মোহন সেনের পিতার নাম ত্রাহিরাম সেন ও মাতার নাম শ্রী মেনকা দেবী। যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত খুবই ছোট বেলাতেও সাহসী ছিলেন। বাল্যকালে অকুতোভয় যাত্রামোহন একদিন তাঁর ডান হাত প্রজ্জ্বলিত আগুনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। আগুনে হাত পুড়ে গিয়ে সুস্থ হলেও তার ডানহাতের আঙ্গুলগুলো এক সাথে জড়িয়ে যায়।

মা-বাবা এই অকর্ম্মন্য হাতে লেখা সম্ভব নয় ভেবে বিদ্যাশিক্ষা সম্ভব নয় সিদ্ধান্ত করেন। পাঁচ বছর বয়স অতিক্রান্ত হবার পর গ্রাম্য পাঠশালার গুরুদেব দেখলেন যে জড়ানো আঙ্গুলের ফাঁকে চিকন কঞ্চি ঢুকালে শিশুর বেশি কষ্ট হয় না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তাকে লেখাপড়া শিখানো সম্ভব এবং তার পাঠশালায় শিশুর ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এই পোড়া হাতের জড়ানো আঙ্গুল নিয়েও বালক পড়াশুনায় অতীব কৃতিত্ব দেখাতে লাগল। বাবা ত্রাহিরাম তাঁকে উচ্চশিক্ষা দিবেন সংকল্প করেন।  দুর্ভাগ্য বশতঃ এই সময় ত্রাহিরাম মৃত্যুমুখে পতিত হন। তিনি এক জমিদারী এস্টেটে কর্মরত ছিলেন। খাজনা উসুল কর্মে নিযুক্ত থেকেও অত্যন্ত সৎ ও নির্লোভ জীবনযাপন করতেন বলে মৃত্যুর পরে পুত্রদের জন্য কোন সঞ্চিত অর্থ রেখে যেতে পারেননি। যাত্রামোহনকে দক্ষিণ ভূর্ষী গ্রামে মাতুলালয়ে পড়াশুনার জন্য পাঠানো হয়। তাঁদের অবস্থাও মোটেই ভালো ছিল না। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নব কিশোর সাধারণ লেখাপড়া শিখে নিজ গ্রামে এক পাঠশালা খুলেন। যাত্রামোহন পুনরায় সেখানে শিক্ষা লাভ করেন। যাত্রামোহন সেনের দূর সম্পর্কীয় মামা সিভিল কোর্টের আমিন কৈলাস চন্দ্র কার্যোপলক্ষে বরমা এসেছিলেন। যাত্রামোহনের উচ্চশিক্ষা লাভের আগ্রহ দেখে তিনি বালককে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন এবং তাকে বর্তমান পটিয়া স্কুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা হয়। এই স্কুলের হেড মাষ্টার ছিলেন সে সময় দুর্গাচরণ দত্ত। চট্টগ্রামের সুচক্রদন্ডি গ্রামের অন্নদাচরণ খাস্তগীর মহাশয় বার্মায় ডাক্তারী করে সুনাম অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিদ্যোৎসাহী এবং সমাজহিতৈষী। তিনি চট্টগ্রামে আসলে নানা বিদ্যালয়ে গিয়ে ছেলেদের লেখাপড়ায় উৎসাহ দিতেন। যাত্রামোহনের প্রখর বুদ্ধি দেখে তিনি খুবই প্রীত হন। বিশেষতঃ তাঁর বন্ধু কৈলাস চন্দ্র দত্তের ভাগিনা এই বালক যাত্রামোহনের প্রতি তাঁর আকর্ষণ আরও তীব্র হয়। বালকের হাতের আঙ্গুল পরীক্ষা করে তিনি নিজ বাড়ীতে নিয়ে আঙ্গুলে অস্ত্রোপচার করে লেখার আরো উপযোগী করবার চেষ্টা করেছিলেন। হাতের আঙ্গুল কিছু ফাঁক হয়েছিল ঠিকই কিন্তু যাত্রামোহন যে নিদারুণ কষ্ট পেয়েছিলেন তা তিনি জীবনে ভুলতে পারেননি। ডাঃ খাস্তগীরও নিজ খরচে উচ্চশিক্ষার সব ব্যয়ভার গ্রহণ করার এবং তার সঙ্গে ব্রহ্মদেশে যাবার প্রস্তাব দিলে কিশোর যাত্রামোহন কিছুতেই সম্মত হয় নাই। এই সময়ে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মাত্র চবিবশ বৎসর বয়সে মারা যান। তাঁর ছোট ভাই নীল কমল কলেজের পড়ায় ইস্তফা দিয়ে এক স্কুলে কেরানীর কাজ গ্রহণ করতে বাধ্য হন। স্কুল থেকে ১৮৬৮ সালে তিনি এফ, এ পাশ করেন। বিপদের উপর বিপদ; নীল কমলের স্বাস্থ্যের খুবই অবনতি ঘটে। চাকুরী করা অসম্ভব। ঠিক হল যাত্রামোহন চাকরী করে সংসার চালাবে। আর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সম্ভবপর নহে। চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক ছিলেন বৈকুণ্ঠ নাথ রায়। তিনি যাত্রামোহনের মধ্যে প্রতিভা ও মেধার পরিচয় পেয়েছিলেন। যাত্রা মোহনের পড়া বন্ধ করা কিছুতেই উচিত হবে না বলে তাগিদ দেয়াতে ধার কর্জ করে তাকে কলিকাতা প্রেরণের ও বি, এ পড়ার সিদ্ধান্ত হয়। ক্যাথিড্রেল মিশন কলেজে তিনি ভর্তি হন। কলেজের প্রিন্সিপাল ডাইসন বাড়িতে চিঠি দিলেন যে তাকে নির্বাচনী পরীক্ষা না দিয়ে বি, এ পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হবে এবং যেন তিনি পত্রপাঠ কলিকাতায় চলে যান। যাত্রামোহন কলিকাতায় ফিরে পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সাথে বি, এ পাশ করলেন। চট্টগ্রাম ফিরে এসে চাকরী নিলেন কমিশনার অফিসে মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে। প্রায় বছর খানেক চাকরী করার পর অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন হয়। ডাঃ অন্নদাচরণ খাস্তগীর এবং সারোয়াতলী গ্রামের ব্যারিষ্টার (ব্রহ্মদেশে প্র্যাকটিস) পূর্ণ চন্দ্র সেনের (পি, সি, সেন) অর্থ সাহায্যে পুনরায় কলিকাতা গিয়ে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ গ্রহণ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আইন কলেজেও ভর্ত্তি হন। আইন পরীক্ষায় ৭ম স্থান অধিকার করে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং ওকালতি ব্যবসা আরম্ভ করেন। ডাঃ অন্নদাচরণ খাস্তগীর মহাশয়ের কন্যা বিনোদিনীর সাথে ঐ বৎসর তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যাত্রামোহন সেন ১৮৯৮ সাল থেকে কলিকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ভাগ্য খুবই সুপ্রসন্ন ছিল। তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে আরম্ভ করেন। বিশেষতঃ ফৌজদারী মোকদ্দমায় তিনি ছিলেন তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধি গুণে ও আইনের গভীর জ্ঞানে অদ্বিতীয়। তাঁর খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

আইন ব্যবসা ছাড়াও তাঁর কাজের পরিধি দেখে বিস্মিত হতে হয়। ১৮৯৮ সালে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য মনোনীত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজ গভর্ণিং বডি, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটি, চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের তিনি অত্যন্ত সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তদানীন্তন সরকার প্রায় সব ব্যাপারে তাঁর মত যাচাই করতেন বলে জনশ্রুতি আছে। রাজনীতিতে তিনি তখনকার দিনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাই তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মৃত্যুর পূর্বে ১৯১৯ সালে। ১৯১২ সালে চট্টগ্রামে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন এবং বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি এবং এগুলোর সফল অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ইহাও উল্লেখযোগ্য যে, পূর্ব বঙ্গ ব্রাহ্ম সম্মেলন ঢাকা অধিবেশনের তিনি সভাপতি পদে কৃত হয়েছিলেন। এ সমস্ত সম্ভব হয়েছিল তাঁর অকৃত্রিম দেশপ্রেম, অন্তরের বৈভব, তেজস্বিতা এবং অকুতোভয়তাগুণে। ‘‘তাঁর রহমতগঞ্জে অবস্থিত বাড়ীটিতে (বর্তমান শিশুবাগ) পাক-ভারত-বাংলাদেশ উপমহাদেশের অনেক সম্মানিত ও বিশিষ্ট নেতা আতিথ্য গ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা শওকত আলী, ড. আনসারী, দেশবন্ধু চিত্ত রঞ্জন দাশ, ব্যারিষ্টার আবদুল্লা রসুল প্রমুখ অনেকে। এমন একটি ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত বাড়ী যা বর্তমানে মিউজিয়াম বা কোন বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হবার উপযুক্ত, এখন ব্যক্তি বিশেষের ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইহা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়। এ ব্যাপারে সমাজের গভীর মনোযোগ আকর্ষণ করছি। অধিকন্তু যাত্রামোহন সেনগুপ্ত ও দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের মতো মহান দেশপ্রেমিকের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করা একটা জাতির জন্য কত বড় লজ্জাজনক বিষয় তা বুঝবার ক্ষমতা রাজনৈতিক নেতাদের এখনও হয়েছে বলে মনে করি না। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে পরবর্তী জীবনে একজন পেশাদার আইনবিদ হিসাবে তাঁর দান-ধ্যানের কথা উল্লেখ করলে সকলে বিস্মিত হবেন সন্দেহ নাই। চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জে অবস্থিত ‘‘যাত্রামোহন সেন হল’’, ‘‘ওল্ডহ্যাম ক্লাব’’, ‘‘সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ’’ তাঁরই দানকৃত জমি এবং এসব গৃহাদি নির্মাণের ব্যাপারে তাঁর অর্থানুকূল্য এখনও জীবন্ত সাক্ষী। পরাধীন ব্রিটিশ ভারতে রাজনীতি, গণতন্ত্র ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য তিনি পরিকল্পিতভাবে জে, এম, সেন হল প্রতিষ্ঠা করেন। রহমতগঞ্জ পোষ্ট অফিসটিও তাঁর দানকৃত জমিতে অবস্থিত। কুসুমকুমারী ছিলেন তাঁর পুত্র মনমোহন সেনের বাল্য বিধবা। পুত্রবধূকে সমাজকর্মে ও শিক্ষাব্রতে উদ্বুদ্ধ করবার মানসে তিনি স্কুলের জমি দান করে নিজেই এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন রহমতগঞ্জে এবং আমৃত্যু কুসুম কুমারী এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। বর্তমানে তা মাধ্যমিক স্কুলে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যালয় দু’টি ‘‘কুসুম কুমারী পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়’’ ও ‘‘কুসুম কুমারী পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’’ নামে খ্যাত। নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি ‘‘ডাঃ খাস্তগীর বালিকা স্কুল’’ প্রতিষ্ঠা করেন।  ডাক্তার ছিলেন তাঁর শ্বশুর। জীবনের প্রথমভাগে তিনি তাঁর শ্বশুরের বিরাট পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন; তা তিনি ভুলেননি। এই স্কুলকে উচ্চ ইংরেজী মানে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে তিনি বিপুল পরিমাণ জমি দান করেছিলেন। জামাল খান রোডে অবস্থিত ডাঃ খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত একটি প্রথম শ্রেণীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বরমা গ্রামে তাঁর মা-বাবার নামে তিনি ‘‘ত্রাহি-মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়’’ প্রতিষ্ঠা করেন। এখনো এই বিদ্যালয় স্বকীয় গৌরবে বর্তমান আছে। এখানে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘‘বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়’’ আমাদের অক্ষমতায় লুপ্ত হয়েছে। স্বগ্রামে তিনি এক দাতব্য চিকিৎসালয়।’’ আমরা এমনই অকৃতজ্ঞ যে বর্তমানে আমরা এর নাম ‘‘বরমা পল্লী চিকিৎসালয়’’ দিয়েছি। তাঁর দানকৃত জমিতে ‘‘নূর মহম্মদ তরফ’’ কিনে সেখানে তিনি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। শোনা যায়, এই মসজিদ পরিচালনার জন্য তিনি অনেক জমি দান করেছেন। তিনি কি উদার মনের লোক ছিলেন এবং অসাম্প্রদায়িক তাঁর আদর্শ ছিল দেশবাসী তা ভুলতে বসেছে। এমনি এক কৃতি পুরুষকে যদি আমরা সম্মান না জানাই তবে দেশে জ্ঞানগুণী জন্ম হবে আমরা কি আশা করতে পারি? আমাদের সমাজে যারা নিজেদের উচু বুদ্ধিভিত্তিক বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসের মানুষ মনে করে পথ চলেন তাঁরাই তো যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের সিকি পরিমাণও নয় তা বুঝেনা। চট্টগ্রামে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছরে কত না কিছু দেখেছি। ইতিহাসের মানুষ বলে বৌ-বাচ্চার জন্মদিনও হয় মহাসমারোহে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যারা ইতিহাসের নক্ষত্র তাঁদের জন্ম মৃত্যুবার্ষিকী চলে যায় কেউ খবরও রাখে না। রাখেন না যাত্রা মোহন সেনের ট্রাষ্টে যারা ভোগ করেন তারাইও। বুদ্ধি ও জ্ঞানপাপী মুখে আমরা থুথু দিই। সরকারের প্রতি বিনীত দাবি যাত্রা মোহন সেন এর ব্যবহারিত ঐতিহাসিক বাড়ীটি ইতিহাসের জন্য বর্তমান জন্মের জন্য স্মৃতি রক্ষা করতে সমগ্র চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ইতিহাস সংরক্ষণ করতে বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর মতে একটি মিউজিয়াম বা একটি স্মৃতি সংরক্ষণশালী হিসেবে সংরক্ষণ করা হোক। অন্যায় যাত্রা মোহন সেন এর করা ইতিহাস শুধু বই খাতায় পুরাতন কাগজের টুকলায় করে দোকানের মালামাল বিক্রিতে চলে যাবে। আর কালক্ষেপণ না করে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শতশত বর্ষী নেতাদের জুতা পর্যন্ত সংরক্ষণ হয় আর আমাদের ঐতিহ্যের মানুষ যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের ব্যবহারিত বাড়ীটি চলে যাবে সেটি কারো কাম্য নয়। ৯৭তম মহাপ্রয়ান দিবসে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কিছুই চাইতে পারি না। নেতা তোমাদের অযোগ্য চট্টল সন্তানরা তোমার বাড়ি পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেনি ক্ষমা করো ক্ষমা।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব আলোকচিত্র মিউজিয়াম, চট্টগ্রাম

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here