সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা ২৭ মার্চ ২০২১ ১৬:৪৯

দোলের রঙে অনেকের ত্বকে সমস্যা হয়। নানা রকম র‍্যাশ, চুলকানি, জ্বালা তো হয়ই, বাড়াবাড়ি হলে ত্বকের নানা জায়গায় ধবধবে সাদা দাগ হয়ে যায়। বেশির ভাগ সময় উজ্জ্বল রাসায়ানিক রং ত্বকের সমস্যা ডেকে আনে বলে মত চিকিৎসকদের।

শিমুল, পলাশের মতো প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি রঙে এ সব ভয় নেই। তবে রঙের ভয় থাকুক না থাকুক, কোভিড ছড়ানোর ভয় পুরোদস্তুর আছে। তাই এ বছরে দোল খেলা বন্ধ রাখার আবেদন জানাচ্ছেন বহু চিকিৎসক।

কোন রং বেশি ক্ষতিকর

• লাল রং অনেকেরই পছন্দের। এর প্রধান উপাদান মার্কিউরিক সালফাইড।
• ঘন কালো রং তৈরি করা হয় লেড অক্সাইড দিয়ে।
• উজ্জ্বল সবুজ রঙে আছে কপার সালফেট ও ম্যালাসাইট গ্রিন।
• চকচকে রুপোলি রঙে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম ব্রোমাইড।
• নীল রং বানানো হয় বিষাক্ত প্রাশিয়ান ব্লু-সহ আরও নানান ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে।
রাসায়নিক ভর্তি এ রকমই উজ্জ্বল রং মানুষ তো বটেই কুকুর, বিড়ালদের পক্ষেও মারাত্মক ক্ষতিকারক।

আবিরও নিরাপদ নয়
আবিরের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যাঁদের ডার্মাটাইটিস বা একজিমার প্রবণতা আছে, তাঁদের সমস্যা বেড়ে যায় আবিরের কারণে। অনেক সময়ে আবিরে অভ্র ও মিহি কাচের গুঁড়ো মেশানো হয়। এর ফলে মুখে গলায় ত্বক ছড়ে গিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। আবির শ্বাসনালীতে গেলে হাঁচি, সর্দি, কাশি এবং অ্যাজমার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

রঙের বিপদ
চিকিৎসদের একাংশের বক্তব্য, উজ্জ্বল হলুদ আবির ও কালো রঙে সব চেয়ে বেশি পরিমাণে রাসায়নিক থাকে। এর প্রভাবে আমাদের শরীরে নানা বিষক্রিয়া হয়। এমনকি বৃক্কেরও ক্ষতি হতে পারে।
নীল রঙে থাকা প্রাশিয়ান ব্লু নামের রাসায়নিক ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সোনালি ও রুপোলি রং ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়। সবুজ রঙে থাকা কপার সালফেট ও অন্যান্য রাসায়ানিক চোখের সমস্যা ডেকে আনে।

রং মাখার আগে
কোভিড পরিস্থিতিতে রং না খেলাই ভাল। তাও কেউ ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে রং খেলতে চাইলে, তার আগে পুরো শরীরে নারকেল তেল মেখে নিতে পারেন। তা হলে রং ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। আর চোখ বাঁচাতে চশমা বা কালো চশমা পরা যেতে পারে। তবে খাঁটি ভেষজ রং ব্যবহার করলে এই সমস্যা হয় না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here