মনজুর আলম : প্রশাসন মোবাইল কোর্ট চালিয়ে উচ্ছেদ করে। পরদিন পুনরায় বেদখল হয়ে যায়। এভাবেই দখল-বেদখলের পালায় বোয়ালখালী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ কানুনগোপাড়া সড়কটি এখন একেবারই বিপর্যস্ত। এতে প্রতিনিয়তই সৃষ্ট যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। যাতায়াতে পথচারীরা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ।
জানা যায়, উপজেলাবাসীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম কানুনগোপাড়া সড়ক। এ সড়ক অপ্রশ্রস্ত ও অনুন্নত। সড়কটির গোমদন্ডী ফুলতল হতে কানুনগোপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে অর্ধশতাধিক বাঁক। বাঁকের কারণে গাড়ি চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় চালক-হেলপারদের। সড়কটির গোমদন্ডী ফুলতল হতে বুড়ি পুকুরপাড় পর্যন্ত সদর এলাকায় দেখা যায়, দুই পাশের খালি জায়গাগুলো প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছে। কেউ কেউ ভ্যানে করে মালামাল বিক্রি করছে। পেছনে শত শত গাড়ির লাইন।
উপজেলা সদরের একটি কিন্ডারগার্টেনে সন্তানকে পৌঁছে দিতে আসা নাসিমা আকতার নামের এক অভিভাবক বলেন, কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। যে যেভাবে পারছে সড়কটি দখল করে নিয়েছে। ফলে প্রতিদিনই এভাবে যানজটে আটকা পরতে হয়।
ভ্যানে করে তরকারি বিক্রি করছিলেন এক যুবক। রাস্তায় কেন মালামাল বিক্রি করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো ভাড়া দিয়ে বসি। ভাড়া কে নেয়? এই প্রশ্নের জবাব দেন না তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, কাজটি হলো স্থানীয় পৌরসভার। তারপরও জনস্বার্থে আমরা মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে থাকি। কিন্তু দুয়েকদিন পর দেখি এরা আবার পুরনো কায়দায় দখলে চলে আসে।
স্থানীয় পৌর মেয়র হাজি আবুল কালাম আবু বলেন, হকারদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে শুধু রমজানে তাদের মৌখিক সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এখন আর নয়।
দৈনিক আজাদী